হাঁপানি নিরাময়ের লোক চিকিৎসা ও ঔষধ
হাঁপানি একটি দুরারােগ্য ব্যাধি। কিন্তু কোন কোন লােকৌষধে এ রােগ অতি সুন্দরভাবে আরােগ্য হয়। নিম্নে ‘হাঁপানি’র কতিপয় ঔষধ সম্পর্কে আলােচনা
করা হল।
আকন্দর ছালের গুঁড়া: আকন্দের শিকড়ের ছাল খুঁড়াে করে তাতে আকন্দের আঁঠা মাখিয়ে শুকিয়ে তামাকের মত তার ধূমপান করলে হাঁপানি এবং হাঁপানি-কাশি আরােগ্য হয়। দৈনিক দু'তিনবার করে এক থেকে ছ' সপ্তাহ এরূপে ধূমপান করা আবশ্যক।
অশ্বগন্ধার ক্বাথ: অশ্বগন্ধার ক্বাথ, ঘি ও মধু প্রতিদিন সকালে একবার করে এক চামচ পরিমাণ এক থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে হাঁপানি ও হাঁপানি কাশি নিরাময় হয়।
আকন্দ গাছ+সাদা চন্দন+গােলমরিচ: শীষ আকন্দ গাছের পূর্ব দিকে, পশ্চিম মুখাে হয়ে দাড়িয়ে, ‘শ্বাস ধরে একটানে গাছটা তুলে, তার শিকড় পানি দিয়ে বেঁটে রস বানাতে হবে। তারপর পানি দিয়ে সাদা চন্দন ঘষে মিশিয়ে উভয় বস্তু এক পােয়া পরিমাণ বানাতে হবে। অতপর মিশ্রিত দ্রব্যের সঙ্গে একুশটা গােল মরিচ বেঁটে খুঁড়াে করে মিশিয়ে-বেলা পূর্ব দিকে থাকতে ঐ দ্রব্য এক চুমুক মাত্র খেতে হবে। তাহলেই হাঁপানি নিরাময় হবে। এ ঔষধ একবার এক চুমুকই মাত্র সেব্য।
ঔষধ খাবার পর একুশ দিন গরুর মাংস, পচা মাছ, গজাল মাছ, বাউস মাছ এবং শাকপাতা খাওয়া নিষেধ।
(ফকীর বা ওঝা রােগীর নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক বা অর্থ গ্রহণ করতে পারবে না)।
জগডুমুর গাছ: জগডুমুরের কচি আগা সাতটি ও আকছটির গাছের কচি আগা সাতটি সামান্য লবণ সহযােগে বেঁটে রস করে-সেই রস আধ ঝিনুক পরিমাণে প্রতিদিন সকালে ও বৈকালে কয়েকদিন খাওয়ালে হাঁপানি নিরাময় হয়। হাঁপানি কঠিন হ'লে, এর সঙ্গে কিঞ্চিৎ স্বর্ণসিন্দুর যােগ করা চলে।
ধুতুরার ফল: অতিশয় শুকনাে ধুতুরার ফল পুড়িয়ে তার ধূম নাকে টানলে হাঁপানি, শ্বাস কষ্ট প্রভৃতি দুর হয়।
ধুতুরার পাতা: ধুতুরার পাতা শুকিয়ে সেই পাতা দিয়ে তামাক সহযােগে বিড়ি বানিয়ে ধূমপান করলে হাঁপানি আরােগ্য হয়। ঐ পাতা কলিকায় পুড়িয়ে ধূমপান করলেও হাঁপানি আরােগ্য হয়