নক্ষত্র গণনা করার জ্যোতিষ পদ্ধতি
মাস নক্ষত্রে তিথি যুতা,
তা দিয়ে হরয়ে পুতা।
কৃষ্ণে দশে শুক্রে এগার,
ইহা দিয়ে নক্ষত্র সার।
ষটক নক্ষত্র: বৈশাখের বিশাখা, জ্যৈষ্ঠের জ্যেষ্ঠা, মাঘের মঘা, কার্তিকের কৃত্তিকা, পৌষের পুষ্যা, অগ্রহায়ণের মৃগশিরা, ফাল্গুনের ফল্গুনী, চৈত্রের চৈতা, ভাদ্রের পূর্বভাদ্রপদ, আশ্বিনের অশ্বিনী, আষাঢ়ের পূর্বাষাঢ়া, শ্রাবণের শ্রবণা।
নক্ষত্র গণনা করতে হলে মাসের ষটক নক্ষত্র আগে বেছে নিতে হয়। পরে তার সাথে তিথি সংখ্যা যােগ করতে হয়, এই যােগ ফলের সাথে শুক্লপক্ষকে এগার এবং কৃষ্ণপক্ষকে দশ যােগ করতে হবে।
অতঃপর, সমগ্র যােগফলকে সাতাশ দিয়ে ভাগ করতে হয়।
উদাহরণ:
ধরা যাক, বৈশাখ মাসে ষটক নক্ষত্র অর্থাৎ বিশাখা— সংখ্যা ১৬
ধরা যাক, তিথি সপ্তমী সংখ্যা— ৭
ধরা যাক, শুক্লপক্ষে থাকার দরুণ— ১১
____________________________________
মােট সংখ্যা— ৩৪
৩৪÷২৭ ভাগশেষ ৭ (সাত) অতএব পুনর্বসু নক্ষত্র কারণ, সপ্তম তম নক্ষত্র হয়ে হচ্ছে পুনর্বসু।
বিঃদ্রঃ ষটক নক্ষত্র সংখ্যা, তিথি, বার সহজে বুঝতে ও বের করতে পঞ্জিকার সাহায্য নিতে পারেন।