শুভ ও অশুভ ফলাফল বের করার জ্যোতিষ পদ্ধতি

সাত পাঁচ তিন কুশল বাত,
নয়ে একে হাতে হাত।
কি করিবে ছুটে চটে,
কার্যনাশ হয় দুয়ে আটে।

প্রশ্নকর্তা ও শ্রোতা দুজনের নামাক্ষর, তিথি বার সংখ্যা একত্রে যােগ করিয়া উক্ত সংখ্যার সহিত পুনঃ নক্ষত্রের সংখ্যা যােগ করিয়া দশ দ্বারা ভাগ করিতে হইবে। ভাগশেষ সাত, পাঁচ কিংবা তিন থাকিলে সংবাদ শুভ হইবে। এক বা নয় ভাগশেষ থাকিলে শীঘ্রই প্রত্যেক্ষ ফল লাভ হইবে। ছয়, চার অবশিষ্ট থাকিলে উদ্দেশ্য বিফল হয়। দুই কিংবা আট ভাগশেষ থাকিলে কার্য নষ্ট হয়।

উদাহরণ:
ধরা যাক, প্রশ্নকর্তার নাম “নটবর”। নিজের শুভাশুভের বিষয়ে জানতে চাইলাে “হরিনারায়ণ” এর কাছে । ৫ই বৈশাখ, দ্বিতীয়া তিথি, বুধবার। অশ্বিনী নক্ষত্র। এখানে নটবর ও হরিনারায়ণের নামের অক্ষর সংখ্যার সহিত মাস, তিথি, বার বা দিন নক্ষত্র যােগ করিয়া দশ দ্বারা ভাগ করিলেই যে ভাগশেষ থাকিবে, তাহার উপরেই শুভাশুভের ফলাফল নির্ভর করিবে।

হিসাব:
নাম নটবর ও হরিনারায়ণ অক্ষর সংখ্যা— ১০ দশ
মাস বৈশাখ (১ম মাস)— ১ এক
তিথি দ্বিতীয়— ২ দুই
নক্ষত্র বৈশাখ মাস হওয়ার দরুণ অশ্বিনী— ১ এক
বার বা দিন বুধবার— ৪ চার
_____________________________________
মােট— ১৮ আঠারো

সুতরাং, ১৮÷১০= ভাগশেষ ৮ (আট)। অতএব, কার্য নষ্ট।

বিঃদ্রঃ গণনায় রবিবারকে সপ্তাহের প্রথম দিন ধরা হয়। সেই হিসেবে বুধবারকে চতুর্থ (৪) দিন ধরা হয়েছে। তেমনি, বৈশাখ মাস বছরের প্রথম মাস হওয়ার কারণে সংখ্যা ১ ধরা হয়েছে। নক্ষত্রেও তাই। আরেকটি কথা জেনে রাখা ভালো— তা হল; নামে যদি যুক্তাক্ষর থাকে তাহলে দুটি যুক্ত অক্ষর কে একটি সংখ্যা ধরতে হবে। 

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url