ব্যক্তির জীবনকাল বা পরমায়ু গণনা

প্রিয় পাঠক, এই পোস্টে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চর্চা করতে যাচ্ছি তা হলো; জ্যোতিষ পদ্ধতিতে মানুষের আয়ু গণনা করা। পুরান কালে সম্ভ্রান্ত পরিবারে কোন নবজাতক শিশু ভূমিষ্ঠ হলে, পিতা-মাতা বা বয়োজ্যেষ্ঠরা জ্যোতিষীদের আমন্ত্রণ জানাতেন। এবং তাদের সন্তান কতদিন বাঁচবেন বা আয়ুষ্কাল কত তা জ্যোতিষদের কাছে অনেক সময় তারা জানতে চাইতেন। সেই সময় জ্যোতিষীগণ নবজাতকের আয়ুকাল বের করতে যে গণনা পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতেন। এখানে আমরা সেই পদ্ধতি গুলোর একটি নিয়ে আলোচনা করব।

কিসের তিথি কিসের বার,
জন্ম নক্ষত্রে কর সার।
কি কর শ্বশুর মতিহীন, 
পলকে জীবন পাবে যেদিন।

যে নক্ষত্রে সন্তান ভূমিষ্ট হইবে, তদবধি তার যত পরিমাণ বাক্য থাকিবে। সেই পরিমাণকে প্রতি পলে বারাে দিন ধরিয়া হিসাব করিলে জাতকের পরমায়ু নির্দিষ্ট সময়কাল জানা যাইবে।

উদাহরণ:
মনে করা যাক, চিত্রা নক্ষত্রে কোন এক বালকের জন্ম হইবে। বাকী আছে মাত্র ২০ দণ্ড। ষাট পলে এক দণ্ড হয়। অতএব, বিশ দণ্ডকে ষাট দ্বারা গুণ করলেই যে পল সংখ্যা হইবে তাহাকে বারো দ্বারা গুণ করিয়া তিনশত পয়ষট্টি দ্বারা ভাগ করিলেই জাতকের আয়ুষ্কাল পাওয়া যাইবে।

হিসাব:
৬০ পলে এক দণ্ড, অতএব ২০ দণ্ড = ২০X৬০= ১২০০পল
প্রতি পলে বারাে দিন, অর্থাৎ ১২০০X১২= ১৪৪০০ দিন |
৩৬৫ দিনে এক বৎসর, অর্থাৎ ১৪৪০০÷৩৬৫= ৩৯ বৎসর।
অতএব, জাতকের আয়ুষ্কাল হইবে ৩৯ বৎসর।

বিঃদ্রঃ জ্যোতিষ গণনায় প্রাপ্ত ফলাফল হলো, ব্যক্তির জীবনে ঘটবার সম্ভাবনা সমূহ। উক্ত গণনা পদ্ধতিটি মহিয়সী নারী জ্যোতিষী খনা'র।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url