ব্লাড ডায়ালিসিস সমাচার এবং কি কি রোগে এটা করা দরকার বিস্তারিত জানুন

কিছুদিন আগে কাগজে পড়লাম ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরে (সি আর এফ) আক্রান্ত এক বৃদ্ধ ডায়ালিসিসের খরচ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ডায়ালিসিস কি সত্যিই এতটা ব্যয়বহুল নাকি সি আর এফের সঙ্গে অবসাদ জড়িত থাকে? দুটো কথাই সত্যি। সারা জীবন ডায়ালিসিস চালিয়ে যাওয়া খুবই খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার। এবং শুধু সি আর এফ বলে নয়, যে কোনও দুরারােগ্য অসুখে ভােগা মানুষই অল্প বিস্তর অবসাদ বা হতাশায় ভােগেন। এই বিষয়ে আরো বলছেন— ডাঃ এ আর নন্দী

❍ প্রশ্ন:  তার ফলে আত্মহত্যাও করতে পারেন?

☛ উত্তর:  হ্যা। এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।

❍ প্রশ্ন:  কেন এমন হয়?

☛ উত্তর:  একজন স্বাভাবিক বা অল্পবিস্তর অসুখে ভােগা মানুষ যখন আচমকা জানতে পারেন যে তিনি দুরারােগ্য কোনও অসুখে, এক্ষেত্রে রেনাল ফেইলিওরে ভুগছেন, মানসিক ধাক্কা পান তিনি। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি বিভিন্ন ডাক্তার দেখাতে থাকেন। কেউ কেউ আবার বিধি নিষেধ কোনওটাই মানতে চান না। একটা সময় কিন্তু তাঁকে মানতে হয়যে বােগটা হয়েছে। এই সময় দু'ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কেউ মেনে নেন। কেউ ভেঙে পড়েন। যাঁরা ভেঙে পড়েন তাঁদের কারাে কারাের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এটা আবার কেটে যায়যখন ২-৪ টি ডায়ালিসিসের পর রােগী সুস্থ বােধ করতে থাকেন। এরপর ২-৩ বছরের মাথায় যখন দেখা যায় ডায়ালিসিস চলছে, জলের মতাে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে অথচ রােগ দাঁড়িয়ে আছে একই জায়গায় বা অবস্থার অবনতি হচ্ছে। হতাশা দেখা দেয়, সেখান থেকে অবসাদ আসে।

❍ প্রশ্ন:  ডায়ালিসিস ২-৩ বছর ধরে চালিয়ে গেলেও অবস্থার অবনতি হতে পারে?

☛ উত্তর:  ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরের উত্তর হচ্ছেকিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। ডায়ালিসিস নয়। ট্রান্সপ্লান্টের জোগাঅস্ত্র হওয়ার আগে পর্যন্ত ডায়ালিসিস করে রােগীর কষ্ট কমাননা হয়। কিন্তু কেউ যদি ট্রান্সপ্লান্টের কথা না ভেবে ডায়ালিসিস করিয়ে যান, ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হবে।

❍ প্রশ্ন:  কিন্তু ডায়ালিসিস করে যে অনেকে সুস্থ হয়ে যান শুনেছি।

☛ উত্তর:  ডায়ালিসিস করে সুস্থ হওয়া যায়যদি কিডনি খারাপ হয় আকস্মিক কোনও অঘটনের দরুন। যেমন, সাপ বা বিষাক্ত পােকামাকড়ের কামড়, ওষুধ বা কোনও রাসায়নিকের বিষক্রিয়া, কোনও অ্যাক্সিডেন্ট বা বড় ধরনের অপারেশন চলাকালীন প্রচুর রক্তপাত, বমি বা ডায়েরিয়ার দরুন শরীরে জলের ঘাটতি, পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে রােগী এলে সপ্তাহে ২-৩ টি করে ডায়ালিসিস চালিয়ে ২-৪ সপ্তাহের মাথায়কিডনির কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনা যায়। সমস্যা হয়ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর অথাৎ যখন কোনও রােগ যেমন, জটিল ধরনের নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিছু বংশগত রােগ যেমন সিস্টিক কিডনি ডিজিজ, কিডনি স্টোন ইত্যাদির কবলে পড়ে ধীরে ধীরে কিডনি খারাপ হতে থাকে। এক্ষেত্রে ডায়ালিসিস চালিয়ে গেলে খুব দ্রুত খারাপ হওয়ার হাত থেকে রোগীকে বাঁচানাে যায়মাত্র। তার বেশি ছুি নয়। এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে আরেকটি গ্রুপ। অ্যাকিউট অন ক্রনিক। সাধারণত এঁদের অল্প মাত্রায়ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর থাকে কিন্তু হঠাৎ কোনও কারণে তার মাত্রা এক লাফে বেড়ে যায়বহুগুণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্ত রােগীদের তৎক্ষণাৎ ডায়ালিসিস শুরু করে দেওয়া হয়। কিন্তু যথাযথ ভাবে রােগীর ইতিহাস জানতে পারলে শতকরা অন্তত ১০ ভাগ ক্ষেত্রে ডায়ালিসিসের ধকল এবং অবশ্যই খরচের হাত থেকে রােগীকে বেশ কিছু দিনের জন্য মুক্ত রাখা যায়।

❍ প্রশ্ন:  তার মানে ডায়ালিসিস ছাড়াও রােগীকে কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখা যায়?

☛ উত্তর: শুধু বাঁচিয়ে রাখা নয়, রােগীর কর্ম ক্ষমতার শতকরা ৬০ ভাগ অন্তত বজায় রাখা যায়।

❍ প্রশ্ন:  কীভাবে?

☛ উত্তর:  রােগের তীব্রতা বাড়ার নানান কারণ থাকতে পারে। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা খুব কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস ঠিকঠাক আয়ত্তে না রাখা, কিডনি বা ইউরেটারে পাথর হয়ে বা অন্য কোনও কারণে প্রস্রাব চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হওয়া, রক্তপাতের দরুণ এমন কি কিছু ওষুধপত্রের প্রভাবেও অল্প ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরের রােগীর কিডনি হঠাৎ করে অনেক খানি খারাপ হয়ে যেতে পারে। কী কারণে খারাপ হল সেটা যদি জানতে পারা যায়, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা, বিশেষ করে আলট্রাসনােগ্রাফি করে যদি দেখা যায় কিডনির আকার ঠিক আছে এবং রােগীর অবস্থা খুব খারাপ নয়, ওষুধপত্রের সাহায্যে চিকিৎসা করে রােগীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া যায়।

❍ প্রশ্ন:  তার মানে আর ডায়ালিসিস দরকার হল না?

☛ উত্তর:  পরবর্তী কালে হয়তাে লাগবে। কিন্তু এভাবে অন্তত ২-৪ বছরও যদি ঠেকিয়ে রাখা যায়২ থেকে ৪ লাখ টাকা বাঁচবে এবং রােগীর জীবনীশক্তি টিকিয়ে রাখা যাবে আরও বেশ কিছু দিন।

❍ প্রশ্ন:  অনেকে বলেন সময়ে ডায়ালিসিস না করালে অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে?

☛ উত্তর:  সে তাে নিশ্চয়ই। অ্যাকিউট অন ক্রনিক রােগীর চিকিৎসা খুব সাবধানতার সঙ্গে করা দরকার।

❍ প্রশ্ন:  কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট তাে বেশ খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার?

☛ উত্তর:  হ্যা। তবে হিসেব করে দেখা গেছে ৫ বছর বাদে যিনি ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছে তাঁর মােট খরচ, যিনি পুরােটাই ডায়ালিসিসে আছে তার থেকে কম। তাঁর থেকেও বড় কথা জীন যাত্রার মান। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করিয়ে নিলে জীবন প্রায়স্বাভাবিক হয়ে যায়।

❍ প্রশ্ন:  ৬০ বছরেব বেশি বয়স হলে তাে আপনারা ট্রান্সপ্লান্ট বারণ করেন। সেক্ষেত্রে ডায়ালিসিস চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কী উপায়আছে?

☛ উত্তর:  আজকের দিনে বয়স আর তেমন কোনও সমস্যা নয়। তবে অন্য কোনও অসুবিধে থাকলে অনেক সময় ডায়ালিসিস চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে জীবন যাত্রার নিয়ন্ত্রণ কিন্তু খুবই জরুরি। না হলে পুরােপুরি সুফল পাওয়া যাবে না।

❍ প্রশ্ন:  শুধু ডায়ালিসিসের ওপর থাকতে চাইলে কী কী সাবধানতা মেনে চলতে হবে?

☛ উত্তর:  অনেক লম্বা ফিরিস্তি। এবং প্রতিটি কথা একদম বেদ বাক্যের মতাে মেনে চলতে হবে।
(১) দু'চারটে ডায়ালিসিস করে খরচ বেশি বলে বন্ধ করে দিলে চলবে না। সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অর্থাৎ ২ থেকে ৩ বার ডায়ালিসিস করাতে হবে।
(২) খাবার দাবারে নিয়ন্ত্রণ। আগে প্রােটিন জাতীয়খাবারে খুব বেশি কড়াকড়ি ছিল। এখন ডায়ালিসিস নিয়মিত করা হলে সে রকম বিধি নিষেধ আর রাখা হয়না। তবে কিডনির ওপর যাতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। প্রােটিনের হিসেব মােটামুটি ০.৫ গ্রাম / কেজি। অথাৎ ৬০ কেজি ওজন হলে দিনে ৩০ গ্রামের বেশি প্রােটিন সচরাচর দেওয়া হয়না। এই পরিমাণ প্রােটিন পাওয়া যাবে দু'টো ডিমের সাদা অংশ, ৫০ গ্রাম মাছ অথবা মুরগির মাংস, ২৫ গ্রাম না, সবজি, রুটি এবং ভাত থেকে। সবজি, রুটি এবং ভাতের পরিমাণও মেপে দেওয়া হয়। রক্তচাপ বেশি থাকলে, ঘাম বেশি হলে, খাবারে নুন দেওয়া হয় মেপে। চায়ের চামচের ১ চামচের মতাে দিনে। অর্থাৎ ৪ থেকে ৫ গ্রাম। সবজি এবং অন্য খাবার দাবার থেকে ১ গ্রামের মতাে আসে। অতএব রান্নায় ব্যবহার করা যাবে আধ চামচ থেকে পৌনে এক চামচের মতাে। পটাসিয়াম বেশি আছে এমন খাবার প্রায় দেওয়াই হয়না। যেমন ডাবের জল, ডাল, ট্যাটো, প্রায় সব ধরনের টক ফল ইত্যাদি। পাকা পেপে বা কলার মধ্যে পটাসিয়াম কম থাকে বলে অল্প পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে। প্রায়সব ধরনের টক ফল ইতাদি। পাকা পেপে বা কলার মধ্যে পটাসিয়াম কম থাকে বলে অল্প পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে। আসলে এই খাবারের ব্যাপারটা পুরােটাই নির্ভর করে রােগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। ট্রান্সপ্লান্ট না করালে সি আর এফ সারবার রােগ নয়। এগােতে এগােতে সে অ্যান্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজে পৌঁছবে অর্থাৎ কিডনির কার্যকারিতা শতকরা ১০ ভাগের নীচে নেমে যাবে। খাবারের হিসেব নিকেশ এই পর্যায়ের ওপরই নির্ভর করে। অবস্থা ভাল থাকলে বিধি নিষেধ কম। খারাপ থাকলে বেশি।
(৩) রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আয়ত্তের মধ্যে রাখতে হবে। এখানে আবেক প্রস্থ খাওয়া দাওয়ার বিধি নিষেধ। মিষ্টি এবং নুনে। সাথে ওষুধ পত্র।
(৪) রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ ভীষণ জরুরি। বারে বারে রক্ত দেওয়া আবার একটু বিপজ্জনক হয়ে যায়। কারণ রক্তের মধ্যে দিয়ে শরীরে কোনও সংক্রমণ ঢুকলে এই অবস্থায়তা খুব ক্ষতিকর। এটা খানিকটা এড়ানাে যেতে পারে হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া থাকলে। খরচায় কুলােতে পারলে সব থেকে ভাল সপ্তাহে দু ' থেকে তিনবার এরিথ্রোপােয়েটিন ইনজেকশন নেওয়া। অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয়না। কারণ এক একটা ইনজেকশনের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা।
(৫) এদের হৃদরােগ এবং হাড়ের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার।
(৬) নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা।
(৭) মন ঠিক রাখার জন্য সাইকলােজিকাল কাউন্সেলিং।

❍ প্রশ্ন:  এ তাে বিরাট খরচের ধাক্কা !

☛ উত্তর:  হ্যা, সারা জীবন ডায়ালিসিসের ওপর বেঁচে থাকতে চাইলে মাসে কম করে ১৩,০০০ ১৫,০০০/ টাকার মতাে খরচ। অনেক দূর দূরান্ত থেকে যাঁরা আসেন তাঁদের খরচ আরও বেশি।

❍ প্রশ্ন:  জীবন যাত্রার মানই বা কী রকম! স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য বেঁচে থাকা।

☛ উত্তর:  তা ঠিক নয়। নিয়ম কানুন ঠিক মতাে মেনে চললে কম করে ৫/১০ বছর এমনকি ১৫ বছরও প্রায় স্বাভাবিক কর্মক্ষম জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় মানসিক অবসাদ।

❍ প্রশ্ন:  কর্মক্ষম জীবন বলছে, কিন্তু সপ্তাহে দু' থেকে তিন দিন তাে ডায়ালিসিস চলবে। সে কদিন ছুটি নিতে হবে। আর ধকলও তাে আছে।

☛ উত্তর:  এমন অনেকে আছেন যাঁরা চারটে পর্যন্ত কাজ করে তারপর ডায়ালিসিস নেন। আবার পরদিন সকালে অফিস করেন। কাজেই নিয়ম ঠিকঠাক মেনে চললে ওটা তেমন কোনও সমস্যা নয়।

❍ প্রশ্ন:  আপনার মতে প্রধান সমস্যা হলে মানসিক অবসাদ?

☛ উত্তর:  না, প্রথম সমস্যা আর্থিক। অনেক সময়এখান থেকেও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

❍ প্রশ্ন:  কলকাতায় কোথায় কোথায় ডায়ালিসিস হয়?

☛ উত্তর:  বেসরকারি সংস্থার মধ্যে উডল্যান্ডস, বেলভিউ, কোঠারি, ক্যালকাটা হসপিটাল, এ এম আর আই, ওক হার্ড, হেলথ পয়েন্ট, লাইফলাইন, মে ফ্লাওয়ার, কিওর সেন্টার, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান, শঙ্কর নাথ ডায়ালিসিস সেন্টার ইত্যাদি। সরকারি সংস্থার মধ্যে পিজি হাসপাতাল, নীলরতন সরকার, এবং শম্ভুনাথ পণ্ডিত। তবে সরকারি সংস্থায় সি আর এফের রােগীদের ট্রান্সপ্লান্ট করার আগে পর্যন্তই কেবল ডায়ালিসিস করার অনুমতি আছে। অথবা রােগী যদি খুব খারাপ হয়ে যায়তবেই।

❍ প্রশ্ন:  খরচ কোথায়কী রকম?

☛ উত্তর:  বেসরকারী সংস্থায় খরচ মােটামুটি ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে। পি জির পেয়িং বেডে ডায়ালিসিস পিছু খরচ ৫০০ টাকা। ফ্রি বেডে ফ্রি।

❍ প্রশ্ন:  কিছু ডায়ালিসিস নাকি অনেক কম খরচে ঘরে বসে করা যায়?

☛ উত্তর:  ঘরে করা যায়। কিন্তু খরচ কম নয়। সি এ পি ডি বা ক্রনিক অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিসের কিছু সুবিধে আছে। এই ডায়ালিসিস বাড়িতে বসে করা যায় এবং রােগী কাজকর্ম করতে পারেন। শুয়ে বসে থাকার দরকার হয়না। তবে খরচ বেশ বেশি। এই পদ্ধতিতে যাওয়ার আগে পেটে একটি অপারেশন করে পেটের উপরের মাংস পেশির ঠিক নীচে একটি ক্যাথিটার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় দু-থেকে তিন দিন। ১২,০০০-১৫,০০০ টাকার মতাে খরচ। এরপর প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা। ওষুধ বা আনুষঙ্গিক খরচ তাে আছেই।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url