অবসেশন কি এবং এই সমন্ধে বিস্তারিত চিকিৎসা পরামর্শ

প্রেমিকার জন্য প্রেমিক পাগল। তাঁকে পাওয়ার জন্য খুন-জখম পর্যন্ত করে ফেলছে। বা সন্দেহের বশে খুন করছে তাঁকেই। এ সবই কি অবসেশন? এর উত্তর হলো: না, এসব অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে ঝোঁকের মাথায় করা কাজ। আমরা বলি ইমপালসিভনেস’। কোনও একটা কিছু পাওয়ার জন্য কেউ যদি খুন-জখমও করে, সেটা কিন্তু লক্ষ্যকেন্দ্রিক। জিনিসটা বা মানুষটাকে পাওয়া হয়ে গেলে ঝোঁকটা কেটে যায়। আবার হারানাের ভয়ে খুন খারাপি— অনেক মানসিক সমস্যার জন্য হতে পারে। কিন্তু অবসেশন বা বাতিক নয়। এই বিষয়ে আরো জানাচ্ছেন: ডাঃ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

❍ প্রশ্ন: অবসেশন তার মানে বাতিক। অর্থাৎ বার বার হাত পা ধােয়া, একশােবার ঘর গুছানো এসব? 

☛ উত্তর: হ্যা, এগুলাে অবসেশন। আসলে এক কথায় অবসেশন হল ‘ হিক্কাপ অফ মাইন্ড '। হেঁচকি তাে কেউ ইচ্ছে করে তােলে না, আপনা থেকে উঠতে থাকে। কষ্ট হয়, বিরক্তি লাগে কিন্তু হেঁচকি যতক্ষশ ওঠার উঠতেই থাকে। জল খেয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। বা মন অন্য দিকে নিয়ে। অবসেশনের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। কোনও বিশেষ ভাবনা, ঝোঁক, দ্বিধা বা বিশেষ কোনও ছবি মনের মধ্যে হঠাৎ করে আসতে শুরু করে। ওই হেঁচকির মতাে। বারবার। মানুষ চাইছে না ভাবতে। কিন্তু না ভেবে উপায় নেই। খুব কষ্টকর এই অবস্থা। যেমন ধরুন, বারবার যাঁরা হাত ধােন। একবার মনে হল হাতে ময়লা লেগে গেছে। হাত ধুয়ে এলেন। আবার মনে হচ্ছে ময়লাটা গেল না। আবার হাত ধােয়া। এভাবে চলতেই থাকল। ঘর গােছানাের ক্ষেত্রেও তাই। কিছুতেই মনে হচ্ছে না। সব কাজ বরবাদ। সারা দিনরাত কেবল ঘর গােছানাে হচ্ছে। মনের মধ্যে কোনও একটা ভাবনা আসার পর মানুষটি যদি সেই অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য হন তখন সেটা রােগ। অবসেসিভ কমপালসিভ ডিস অর্ডার। বা ও সি ডি। 

❍ প্রশ্ন: অনেকে যে গুনে গুনে বারবার ঠাকুর নমস্কার করতে থাকেন সেটাও কি রােগ? 

☛ উত্তর: হতে পারে। যদি এমন হয় যে, কেউ একটি নির্দিষ্ট বার নমস্কার করে শান্তি পাচ্ছেন, মনে হচ্ছে কাজটা যেন সম্পূর্ণ হল না, তিনি কিছুটা বাতিক গ্ৰস্ত তাে বটেই। কিন্তু এমন যদি হয় নমস্কার করে করেও অশাস্তি যাচ্ছে না, পরের কাজ ভুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে, নমস্কার করেই যাচ্ছেন— সেটা রােগের বেশ এগিয়ে যাওয়া রূপ। 

❍ প্রশ্ন: খুঁতখুঁতেদের বাতিকগ্রস্ত বলা যায়? অনেকে আছে কিছুতেই কোনও কাজ পছন্দ হয় না। বারবার করতে থাকেন। 

☛ উত্তর: অল্পস্বল্প খুঁতখুতুনি না থাকলে কোনও কাজই সুষ্ঠুভাবে করতে পারা যায় না। সেটা বাড়লে সামান্য বাতিক আছে বলা যায়। কিন্তু পুরােপুরি রােগ বলার আগে অনেকগুলি জিনিস মনে রাখতে হবে। যেমন, 

(১) আসল কাজ তাড়াতাড়ি করার চেয়ে কাজের প্রতিটি ধাপ নিখুঁত থেকে নিখুঁততম করাই যদি এদের উদ্দেশ্য হয়, তার ফলে হয়তাে আসল কাজটাই করা হয়ে উঠবে না। যেমন ধরুন, কেউ হয়তাে হাসপাতাল বা নার্সিংহােমের রিসেপশনে কাজ করেন। মরণাপন্ন রােগী এল ভর্তি হওয়ার জন্য। সে জানে রােগী এলে আগে ফর্ম ফিলআপ করে টাকা পয়সা অ্যাডভান্স নিয়ে তবে তাঁকে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে। সে নিখুঁতভাবে আগে সেই কাজ করবে, রােগীর বাড়ির লােক যত চেঁচামেচিই করুক বা রােগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাক। আবার এই লােকটিকেই যদি এমারজেন্সি অ্যাডমিশন কাউন্টারে বসিয়ে দিলে, বলে দিতে আগে ডাক্তার ডাকবে তারপর ফর্ম ফিলাপ। সে তাই করত। অর্থাৎ এরা নিজের কাজের প্রতিটি ধাপের ব্যাপারে এত বেশি খুঁতহীন যে বিপদ ঘটতে পারে। যে পর্যায়ক্রমে তাঁর কাজ করার কথা ঠিক সেই পর্যায়ক্রমেই সে কাজ করে যাবে তাতে আসল লক্ষ্যে পৌঁছনাে থাক বা না থাক। 

(২) সাধারণত এরা কাজ থেকে কোনও আনন্দ পায় না। নিখুঁতভাবে কাজ করা নিয়ে কথা। কাজের আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। 

(৩) এরা সাধারণত খুব সৎ, বিবেকবান হয়। সবসময় মনে চিন্তা তাঁর জন্য যেন অনন্যর কোনও ক্ষতি না হয়, নিজের ক্ষতি হয়তাে হােক। খুঁতখুঁতুনি এই পর্যায়ে পৌঁছলে মানুষটি যন্ত্রের মতাে সব কাজ করে যায়। কিন্তু নিখুঁতভাবে করার তাগিদে কাজ আর শেষ হতে চায় না। একটা সময় আসে কাজ আর বিশেষ হয়ই না। অবসেশনাল স্নোনেস থেকে অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। অথাৎ রােগ। 

❍ প্রশ্ন: আরও তাে অনেক রকম সমস্যা হয়। রাস্তায় বেরিয়ে মনে হয় হয়তাে গ্যাস বন্ধ করে আসিনি বা ঘরে তালা দিতে ভুলে গেছি। 

☛ উত্তর: এক আধবার আমাদের সবারই মনে হতে পারে। কিন্তু যদি নিয়মিত মনে হয় এবং তার জন্য অর্ধেক রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে আসতে হয় তবে সেটা নিশ্চয়ই রােগ। নিয়মিত মনে হওয়া অবসেশন। এবং তার জন্য বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। এমন অনেকে আছেন বারবার দরজা বন্ধ হয়েছে কি না দেখতে দেখতে সারা রাত ঘুমােতেই পারেন না। 

❍ প্রশ্ন: কেন এমন হয়? 

☛ উত্তর: যে কোনও অবসেশনের জন্ম উদ্বেগ থেকে। হাতের ময়লা কিছুতেই পরিষ্কার হচ্ছে বলে বারবার হাত ধুতে হচ্ছে, যদিও কাল্পনিক ভীতি। দরজা খােলা পেয়ে যথাসর্বস্ব চুরি হতে পারে এই ভয় থেকে বারবার দেখা দরজা বন্ধ হয়েছে কি না। এছাড়াও খুব অশান্তির ভাবনা থেকে মন সরানাের জন্য বাধ্য হয়ে উল্টো কিছু কাজ করেন কেউ। যেমন, যখনই তরকারি কাটেন মনে হয় কেউ যদি বাচ্চাটাকে এভাবে কেটে ফেলে। ফলে ভাবনাটা আসামাত্র ১-১০০ পর্যন্ত গুনতে শুরু করেন। বা হঠাৎ মনে হল বাবা অনেকদিন ধরে অসুস্থ, রাস্তায় বাঁদিক দিয়ে হাঁটার বদলে ডান দিক দিয়ে হাঁটলে বাবা সুস্থ হয়ে যাবেন। এইসব অকারণ উদ্বেগ বারবার ঘটতে থাকলে মানুষটি ওসিডির রােগী হয়ে যান। 

❍ প্রশ্ন: কাদের এই রােগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? 

☛ উত্তর: মা বাবা ভাইবােনের কালাের এই রােগ থাকলে শতকরা ৩৫ ভাগ সম্ভাবনা হওয়ার। এর কিছুটা বংশগত কারণে, কিছুটা চোখের সামনে শুচিবায়ুগ্রস্থ কাণ্ডকারখানা দেখার ফলে। ব্রেনের মধ্যে কিছু বাসায়নিকের গােলমালে বা কখনও মনেরই গভীর কোনও উদ্বেগের ফলে এর সৃষ্টি। দেখা গেছে শতকরা ২-৩ জন মানুষ জীবনের কোনও না কোনও সময়ে অবসেশনে আক্রান্ত হন, বিশেষ করে যখন খুবই অশাস্তি উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটে। 

❍ প্রশ্ন: পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনােব আগেও তাে অশান্তি থেকে বারবার একই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। বােধহয় পাশ করতে পারব না বা রেজাল্ট ভাল হবে না। এটাও অবসেশন? 

☛ উত্তর: না, অবসেশনে যে চিন্তার জন্ম এবং ঘুরে ফিরে আসা তা কিন্তু কাল্পনিক। যেমন, কারাের হয়তাে মনে হচ্ছে আকাশটা নীল কেন? সবুজ নয় কেন? ভেবে অস্থির। লাগছে, মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাব। তবু ভাবনা বন্ধ হচ্ছেনা। এটা অবসেশন। ছােটবেলায় শুনেছে দু’শালিক দেখলে দিন ভাল যায়। সকালে এক শালিক দেখেছে ফলে সারাদিন ধরে দুশালিক খুঁজে বেড়াচ্ছে। দেখতে পেলে দিন ভাল যাবে। তবে কাজকর্ম শুরু হবে। পরীক্ষার চিন্তা, আত্মীয় পরিজন অসুস্থ হলে তার সুস্থতার চিন্তা বা অবসাদের সময় আমার দ্বারা আর কিছু হবেনা এই ভাবনা বারবার এলেও যেহেতু তার বাস্তবের সঙ্গে যােগ আছে তা অবসেশন নয়। 

❍ প্রশ্ন: যে কোনও বয়সেই কি অবসেশন দেখা দিতে পারে? 

☛ উত্তর: হতে পারে। তবে বেশি হয় ২০ বছরের আশপাশ সময় থেকে। 

❍ প্রশ্ন: মেয়েদের বেশি হয়? 

☛ উত্তর: কম বয়সে ছেলেদের বেশি হয়। তাছাড়া ছেলে এবং মেয়ের প্রায় সমান সমান। 

❍ প্রশ্ন: অবসেশন সারে না? 

☛ উত্তর: সারে। জটিল অবস্থায় ধরা পড়লেও প্রায়শই সারিয়ে তােলা যায়। তবে মারাত্মক অবস্থায় পৌছেনা গেলে লােকে একে রােগ বলেই মানতে চায় না। ফলে ডাক্তারের কাছে যায় না। 

❍ প্রশ্ন: চিকিৎসা কি ওষুধ দিয়ে? 

☛ উত্তর: জটিল অবস্থায় এলে প্রথমে ওষুধ দিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করা হয়। তারপর শুরু হয় বিহেভিয়ার থেরাপি। বিহেভিয়ার থেরাপি নানা রকম হয়। 

(১) ই আর পি অথাৎ এক্সপােজার অ্যান্ড রেসপন্স প্রিভেনশন। যেমন, যাঁর নােংরা ভীতি আছে, তাঁর গায়ে একটা ময়লা কাপড় দিয়ে রাখা হল। ওই অবস্থায় তাঁকে রিল্যাক্স করতে হবে। প্রথম দিকে অনেকে ঘেন্নায় ফেলে দিতে চান। কিন্তু ধীরে ধীরে সয়ে যায় ব্যাপারটা। 

(২) ফ্লাডিং— অর্থাৎ যে জিনিস থেকে দুরে থাকতে চাইছে তার মধ্যেই ডুবিয়ে দেওয়া। ধরুন অন্যের বাথরুমের ব্যাপারে ঘেন্না আছে, একটা বাথরুমেই খানিকক্ষণ ঢুকিয়ে রাখা হল। 

(৩) সিস্টেমেটিক ডিসেন্সিটাইজেশন— অর্থাৎ ভয় ভীতির ব্যাপার ধাপে ধাপে কমানো। অবসেশনাল ফোবিয়া বলে অমূলক ভয়ের কবলে যাঁরা বারে বারে পড়েন তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি। কারাের রােগ, জীবাণু, নােংরা ইত্যাদিতে খুব ভয়। রান্নাঘরের কোনও জিনিস হয়তাে কাজের লােক ছুঁয়ে দিয়েছে – সব আবার ধােয়া শুরু করেন। কেউ হয়তাে ভাবছেন ভাইকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। ভাই এর নামের আদ্যক্ষর স '। স ’ অক্ষর কোথাও দেখলেই অশান্তি। ফলে ‘ স বর্জন করতে চেষ্টা করছে। কারাের আবাব সাপে এত ভয় যে সাপ শব্দ কোথাও লেখা আছে দেখলেও গা কাঁপতে শুরু করে। ইত্যাদি। এদের এই ভয়ের মধ্যে থেকে বার করে আনার জন্য অল্প অল্প করে সইয়ে সইয়ে ভয়ের মুখােমুখি করা হয়। একসময় ব্যাপারটা সহ্য হয়ে যায়। 

(৪) থট স্টপিং-অর্থাৎ চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টা। হাতে একটা রাবার ব্যান্ড বেঁধে দেওয়া হয়। বলা হয় চিন্তা মাথায় এলেই জোরে রাবার ব্যান্ড টেনে ছেড়ে দিতে হবে। এবং সঙ্গে সঙ্গে ভাবনা বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। অথবা ভানা এলেই জোরে বলতে হবে না। এবং আবার ভাবনা বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। ইত্যাদি। 

❍ প্রশ্ন: পেটের রােগে যাঁরা বেশি ভােগেন তাঁদের অনেকেরও তাে হাত ধােয়ার বাতিক থাকে? 

☛ উত্তর: পেটের রােগ থাকলে হাত ধুয়ে খাওয়াই ভাল। তবে দরকারের চেয়ে বেশি বার যদি কেউ ধুতে থাকেন এবং এতবার ধুতে হচ্ছে বলে যদি নিজের মনে অশান্তি হতে থাকে এবং অন্যেরা বিরক্ত হয় — অবসেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে অনেক সময় কঠিন অসুখে ভুগে ওঠার পর সাময়িকভাবে কিছু অবসেশন দেখা দেয়। অসুখ ' ঠিক হয়ে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে অবসেশনও ঠিক হয়ে যায়। 

❍ প্রশ্ন: গর্ভাবস্থাতেও নাকি অবসেশন হয়? 

☛ উত্তর: হতে পারে। তবে তা সাময়িক। 

❍ প্রশ্ন: অবসেশন এড়ানাের কোনও পথ আছে কি? 

☛ উত্তর: যদি নিজের মধ্যে অবসেশনের লক্ষণ টের পান সচেতন হয়ে যান। বিহেভিয়ার থেরাপির যে পদ্ধতিগুলির কথা বলেছি তার মধ্যে থট স্টপিং পদ্ধতি বিশেষ করে অভ্যেস করতে থাকুন। এই পদ্ধতি কাজে না এলে কী কারণে এরকম হচ্ছে সেটা খুঁজে দেখতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। চেষ্টা করুন ভাববার মতাে ফাঁকা সময় যেন হাতে না থাকে। একা থাকলে ভাবনা বেশি মাথায় আসে। তাই অনেকের সঙ্গে থাকতে চেষ্টা করুন। মনে জোর আনুন এই ভেবে যে এটা যদি রােগের পর্যায়েও চলে যায়, চিকিৎসায় কিন্তু সম্পূর্ণ সারবে। 

❍ প্রশ্ন: আপনি বলেছেন পরিবেশগত কারণে বাচ্চার মধ্যে অবসেশন দেখা দিতে পারে। সেটা এড়ানাের কোনও পথ আছে? 

☛ উত্তর: আছে। তার প্রথম ধাপ হল নিজের বা বাড়ির অন্য কারাের অবসেশন থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তােলা। বাচ্চা যেন সুচিবায়ুগ্রস্ত কাউকে চোখের সামনে না দেখে। ভুল জিনিস শেখাবেন না বাচ্চাকে। যেমন, এক কাধে হাত দিলে মা মরে যায়, এক শালিক দেখলে দিন খারাপ যায় বা বেড়াল রাস্তা পার হলে অ্যাক্সিডেন্ট হবে ইত্যাদি। আজগুবি ধারণা মাথায় ঢুকে যাওয়া ঠিক নয়। বাচ্চাকে মানুষ করার ব্যাপারে খুব বেশি কড়াকড়ি করবেন না। দেখা গেছে ছােটবেলায় খুব কড়া টয়লেট ট্রেনিং করালে বাচ্চার মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url