শ্রীঘ্র বিবাহ লাভ ও মনোবাঞ্ছা পূরনে ভৈরব, গন্ধর্ব, ভুবনেশ্বরী ও বিজয়সুন্দরী মন্ত্র
এই প্রবন্ধে আমরা যে মন্ত্র গুলো নিয়ে আলোচনা করব, সেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ, সম্মোহন সহ বিবাহযোগ্য কন্যার শীঘ্র বিবাহ ব্যবস্থা করাতে পারবেন ৷
মনোবাঞ্ছা প্রদায়ক বটুক ভৈরব মন্ত্র
বটুক ভৈরব ধ্যানম্:
“ওঁ কপালহস্তং ভুজগোপবীতং কৃষ্ণচ্ছবিং,
দণ্ডধর ত্রিণেত্রং অচিন্ত্যমাদ্যং মধুপানাসক্তং।
হৃদি স্মরেৎভৈরবমিষ্টদম্ ত্বম্।।
বিধি— নিম্নোক্ত মন্ত্র ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) জপ করলে মনোস্কামনা পূর্ণ হয়।
মন্ত্র— ওঁ অং ক্লীং বীং রং ধ্রুবং ধ্রীং হ্রীং বটুক ভৈরবায় স্বাহা।
মহাকাল ভৈরবায় মন্ত্র:
“ওঁ হং ষং নং গং ফং সং খং মহাকাল ভৈরবায় নমঃ।”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র রুদ্রাক্ষ মালায় উত্তরমুখে বসে ১২,০০০ (বারো হাজার) জপ করলে সর্ব অভীষ্ট সিদ্ধ হয়।
গন্ধর্বরাজ মন্ত্র (কন্যার বিবাহদাতা)
গন্ধর্বরাজ ধ্যানম্:
কন্যাবৃক্ষ সমাসীন উদ্যাদাদিত্যসংন্নিভম্। অঙ্কস্থকন্যা-গন্ধর্বং বিশ্বাবসু প্রভুম্ স্মরেৎ৷৷
জপ মন্ত্র:
“ওঁ ক্লীং বিশ্বাসু নাম গন্ধর্বঃ বিবাহদাতা গন্ধর্বরাজ কন্যানামাধিপতিঃ লভামি দেবদত্তাং কন্যাং সুরূপাং সালঙ্কারাং তস্মৈ বিশ্বাবসবে স্বাহা।”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র জপ করলে অবিবাহিত কন্যার শীঘ্রই বিবাহ হয়। সর্বপ্রথম মন্ত্রটি ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করবে। পরে গুগ্গুল, বিল্বপত্র ও ঘৃত দ্বারা জপের দশাংশ অর্থাৎ ১০০০ (এক হাজার) হোম করবে। তার দশাংশ অর্থাৎ ১০০ একশত তর্পণ, তার দশাংশ ১০ বার মার্জন অর্থাৎ অভিসিঞ্চন করবে। ৩টি ব্রাহ্মণ ভোজন দক্ষিণাসহ করাবে। এই প্রক্রিয়ায় কন্যার মনোমতো পাত্রের সঙ্গে বিবাহ হয়।
সিদ্ধ গন্ধর্বরাজ মন্ত্র (অভিলষিত কন্যাকে লাভের জন্য)
মন্ত্র— “ওঁ অস্য শ্রীগন্ধর্বরাজ মন্ত্রস্য কামদেব ঋষিঃ বিরাটচ্ছন্দ কন্যাপ্রদঃ শ্রীগন্ধর্বরাজ দেবতা ক্লীং বীজং স্বাহা শক্তিঃ অমুকস্য অভিলষিত কন্যাপ্রাপ্ত্যর্থে জপে বিনিয়োগঃ।।
উপরোক্ত ভাবে ঋষ্যাদিন্যাস করে নিম্নলিখিত ভাবে করাঙ্গন্যাস করবে।
অঙ্গন্যাসঃ
ওঁ ক্লীং বিশ্বাবসু নাম গন্ধর্ব হৃদয়ায় নমঃ।
ওঁ ক্লীং কন্যানামধিপতিঃ শিরসে স্বাহা।
ওঁ ক্লীং লভামি দেবদত্তাং শিখায়ৈ বর্ষট্।
ওঁ ক্লীং কন্যা সুরূপা কবচায় হুং।
ওঁ ক্লীং সালঙ্কারাং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্।
ওঁ ক্লীং তস্মৈ বিশ্ববসবে স্বাহা অস্ত্রায় ফট্।
করন্যাসঃ
ওঁ ক্লীং বিশ্বাবসু নাম গন্ধর্ব অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ।
ওঁ ক্লীং কন্যানামধিপতিঃ তর্জনীভ্যাং স্বাহা।
ওঁ ক্লীং লভামি দেবদত্তাং মধ্যমাভ্যাং বষট্।
ওঁ ক্লীং কন্যাসুরূপাং অনামিকাভ্যাং হুং।
ওঁ ক্লীং সালঙ্কারাং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্।
ওঁ ক্লীং তস্মৈ বিশ্ববসবে স্বাহা করতল পৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্।
অতঃপর জপ মন্ত্র জপ করলে এবং এইভাবে জপ করলে সুরূপা ও সালঙ্কারা কন্যা লাভ হয়।
বিবাহ সিদ্ধিদায়ক ভুবনেশ্বরী মন্ত্র
ভুবনেশ্বরী ধ্যানম্:
ওঁ উদ্যাদ্দিনেশদ্যুতিমিন্দুকিরীটং,
তুঙ্গকুচাং নয়নত্রয়যুক্তাং।
স্মরেন্মুখীং বরদাংকুশপাশাংভোজকরাং,
প্রণমেৎ ভুবনেশ্বরীম্।।
ধ্যানান্তে প্রণাম করে নিম্ন মন্ত্র প্রত্যহ ১০০৮ (এক হাজার আট) বার জপ করলে পুত্র কন্যার শ্রীঘ্র বিবাহ হয়।
মন্ত্র— “ওঁ হ্রীং ভুবনেশ্বরী অমুকীং অমুকং শীঘ্র বিবাহং কুরু কুরু স্বাহা।
বিঃদ্রঃ— মন্ত্রে যেখানে অমুকীং আছে সেখানে কন্যার নাম এবং যেখানে অমুকং আছে, সেখানে পাত্রের নাম উচ্চারণ করবে।
সম্মোহন মন্ত্র (১)
মন্ত্র— “ওঁ কামদেবায় বিদ্মহে পুষ্পবাণায় ধীমহি তন্নোহনঙ্গ প্রচোদয়াৎ।”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র প্রত্যহ ১০০০ (এক হাজার) জপ করলে, নারীকে সম্মোহিত করা যায়, এবং শীঘ্র কন্যার বিবাহ হয়।
সম্মোহন মন্ত্র (২)
মন্ত্র— “ওঁ বহ্নি প্রেয়সী স্বাহা।”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করে বিল্বপত্র সমিধ ও ঘৃত দ্বারা ১০০৮ (এক হাজার আট) হোম করলে বিবাহ কার্যে সফলতা লাভ হয়।
সর্ব বশঙ্কর মন্ত্র
মন্ত্র— “ওঁ হ্রীং যোগিনী যোগিনী যোগেশ্বরী যোগেশ্বরী যোগভয়ঙ্করী সকল স্থাবরজঙ্গমমনস্য মুখং হৃদয়ং মম বশমাকর্ষয়াকর্ষয় স্বাহা।”
বিধি— শুভ মুহূর্তে অথবা মহালয়া অমাবস্যার পরদিন প্রতিপদ হইতে নবমী পর্যন্ত উক্ত মন্ত্র প্রত্যহ ১০০০ (এক হাজার) জপ করলে, সকলে বশ হয় এবং পুত্র শীঘ্র বিবাহ হয়।
সর্বকার্যে বিজয় লাভের জন্য বিজয়সুন্দরী মন্ত্র
মন্ত্র— “ওঁ বিজয় সুন্দরীং ক্লীং”।
বিধি— উক্ত মন্ত্র ৭দিন প্রত্যহ ১০০০ (এক হাজার) করে জপ করলে সর্বকার্যে বিজয় লাভ করা যায়।
শীঘ্র বিবাহের জন্য কুমার মন্ত্র
মন্ত্র— “ওঁ হ্রীং কুমারায় নমঃ স্বাহা।”
বিধি— উপরোক্ত মন্ত্র ১০,০০০ (দশ হাজার) জপ করলে কুমারী কন্যার শীঘ্র বর প্রাপ্তি হয়, অর্থাৎ সেই কন্যার শীঘ্র বিবাহ হয়।