ধ্যান ও গায়েত্রী সহ অসাধ্য রোগনাশক মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র

বহু প্রাচীনকাল থেকেই তন্ত্রশাস্ত্র গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। রোগ-শোক দুঃখ-দুর্দশা এবং আত্মার উন্নতিতে এই মন্ত্র গুলো চর্চা করা হয়।

মৃত্যুঞ্জয় ধ্যানম্:

চন্দ্রোদ্ভাসিতমূর্দ্ধজং সুরপতিং পিযুষপাত্রং বহং। হস্তাজেন সুধাংশুকোটি বিমলং হাস্যাস্য পকোরুহম্। সুরেন্দ্রায়াগ্নি বিলোচনং করতলৈঃ পাশাক্ষসূতাং। কশাম্ভোজাম্ বিভ্রতমক্ষয় পশুপতিং মৃত্যুঞ্জয় ভাবয়ে।।

শিব গায়ত্রী:

ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ।

অসাধ্য রোগমুক্তিপ্রদ লঘু মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

“ওঁ জুং সঃ হংসঃ মাং পালয় পালয় সোহহং সঃ জুং ওঁ।”

বিধি—উক্ত মন্ত্রটি প্রত্যহ ১০৮ বার জপ করবে, শুদ্ধাসনে, শুদ্ধবস্ত্রে উত্তর মুখে বসে, ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে রুদ্রাক্ষ মালায় জপ করতে হবে। এইভাবে জপ করলে ক্রমশঃ আত্মোন্নতি হয়। কারও নামে সঙ্কল্প পূর্বক ধ্যানাদি করে মহাদেব পূজা যথাশক্তি উপচারে করে, উক্ত মন্ত্র জপ করলে, যার নামে সঙ্কল্প করে জপ করা হয়, তার অসাধ্য রোগও আরোগ্য হয়।

বিঃ দ্রঃ– মন্ত্রে যে স্থানে ‘হংসঃ মাং' শব্দ আছে। সেখানে যার নাম করে জপ করা হচ্ছে, তার নাম উল্লেখ করতে হবে।

মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

“ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্দ্ধনম্। উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যৌর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ৷৷

—যজুর্বেদীয় সংহিতা

Audio উচ্চারণ: শুনুন


বিধি—মৃত্যুঞ্জয় জপকে যেহেতু রোগনাশক ও শান্তিদায়ক বলে শাস্ত্রে প্রমাণ দিয়েছে, সেই অনুসারে উক্ত মন্ত্র জপে শয্যাশায়ী রোগীও শীঘ্র রোগমুক্ত হয়। রোগ বা অনিষ্টাশঙ্কা দেখা দিলে, উপরোক্ত মন্ত্র নিজের জন্যও জপ করা যায়।

মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

“ওঁ হৌং জুং সঃ ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টি বর্ধনম্। উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যৌর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ স্বঃ ভুবঃর্ভূ ওঁ সঃ জুং হৌং ওঁ।”

বিধি—শুদ্ধস্থানে লালবস্ত্রের ওপর শিবের চিত্র অথবা শিবলিঙ্গের সামনে উত্তরমুখে বসে, গন্ধ-পুষ্প-ধূপ-দীপ-অক্ষত দ্বারা পূজা করে, উক্তমন্ত্রে ৪৫ দিনে ১,২৫,০০০ (সওয়া লক্ষ) বার জপ করবে। এই জপের ফলে রোগী উপযুক্ত ফল লাভ করে। সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে মন্ত্র জপ করবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url