শ্রীহনুমানজীর কতকগুলি মঙ্গলদায়ক মন্ত্র

প্রিয় পাঠক, এই প্রবন্ধে আমরা হিন্দু শাস্ত্রের কতকগুলি বিশিষ্ট মন্ত্র এবং সে গুলোর উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রবন্ধের মন্ত্র হলো: শ্রীহনুমানজীর মন্ত্র।

শ্রীহনুমন্ত ধ্যানম্:
রামেষ্টমিত্রং জগদেক বীরং,
প্লবঙ্গরাজেন্দ্রকৃত প্রণামম্।
সুমেরুশৃঙ্গাগমচিন্ত্যা মাদ্যং,
হৃদি স্মে রহং হনুমন্তমীড্যম্ ৷৷

শ্রীহনুমান্মালা মন্ত্র:
ওঁ বজ্রকায় বজ্রতুণ্ড কপিল পিঙ্গল ঊর্ধ্বকেশ মহাবল রক্ত মুখ তড়িজ্জিহ্বা মহারৌদ্র দ্রংষ্ট্রোকট কহহ করালিনে মহাদৃঢ় প্রহারিণ লঙ্কেশ্বর বধায় মহাসেতুবন্ধ মহাশৈল প্রবাহ গগনচর এহ্যেহি ভগবন্মহাবল পরাক্রম ভৈরবাজ্ঞাপয় এহ্যেহি মহারৌদ্র দীর্ঘপুচ্ছেন বেষ্টয় বৈরিণং ভঞ্জয় ভঞ্জয় হুঁ ফট্।।

বিধি—শ্রীহনুমানজীর চিত্র সামনে রেখে উক্ত মন্ত্র ৫১ বার পাঠ করবে, এবং ভূর্জপত্রে গোরোচনা কুঙ্কুম দ্বারা লিখে হাতে বা গলায় তাবিজ করে রাখলে সর্বকার্যে সিদ্ধিলাভ হয়।

শ্রীহনুমন্ত উপাসনা মন্ত্র:
ওঁ শ্রীগুরবে নমঃ। ওঁ জেতে হনুমন্ত রামদুতং চলো বেগ চলো লোহে বা গদা, বজ্রকা ল্যাংগোট, পান কা বড়া, তেল সিঁদূর কী পূজা, হংহকার পবনপুত্র কালঞ্চচক্রহস্ত কুবেরখিলুং মরামসাল খিলুং ভৈরব খিলুং অক্ষ খিলুং বক্ষ খিলুং মেরে পে করে খাব ছাতী ফট্ ফট্ মর জায়ে, দেব চল পৃথ্বী খিলু সাড়ে বারে জাত কী বাতকী খিলুং মেঘ কো খিলুং নব কওড়ী নাগ কো খিলুং য়েহি য়েহি আগচ্ছ আগচ্ছ শত্রুমুখ বন্ধনা খিলুং সর্বমুখ বন্ধনাম্ খিলুং কাকনী কামনী মুখগ্রহ বন্ধনা খিলুং কুরু কুরু স্বাহা।

বিধি—ব্রহ্মচর্য অবলম্বন পূর্বক অষ্টগন্ধ দ্বারা ভূর্জপত্রে ‘ওঁ হনুমতে নমঃ’ এই মন্ত্র লিখে হনুমানজীকে সিন্দুর ও চামেলীর শুদ্ধ তেল, কেশর ও লাল চন্দন দিবে। পদ্ম, কেওড়া ও সূর্যমুখী ফুলে পূজা করবে। এইভাবে শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত নিত্য পূজা করবে। তুলসী পত্রে রাম নাম লিখে চড়াবে। এই প্রয়োগে শ্রীহনুমান জী প্রসন্ন হয়ে অভীষ্ট সিদ্ধি প্রদান করেন।

শ্রীহনুমদ্ মন্ত্র (সিদ্ধিদায়ক):
ওঁ হ্রীং হনুমতে রামদূতায়। লঙ্কাবিধ্বংসনায়াংজনীগর্ভসংশ্রতায়।
শাকিনী ডাকিনী বিধ্বংসনায়।
কিলি কিলি বুবুকরেণ বিভীষণায়।
হনুমদ্দেবায় ওঁ হ্রীং শ্রীং হৌং হ্রাং ফট্ স্বাহা।।

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্র প্রত্যহ ১০৮ বার জপ করলে সিদ্ধি লাভ হয়।

উদর রোগনাশক হনুমন্মন্ত্র:
“ওঁ যো যো হনুমন্ত ফলফলিত,
ধগধগিত আয়ুরাপঃ পরুডাহ।

বিধি—উক্ত মন্ত্রটি প্রত্যহ ১১ বার জপ করলে বা পড়লে সর্বপ্রকার উদররোগ আরোগ্য হয়।

সিদ্ধিপ্রদায়ক মহাবীর মন্ত্র:
“ওঁ হ্রীং হৌং হষ্ফ্রেং খষ্ফ্রেং হস্রৌং হসখষ্ফ্রেং হসৌং নমঃ।

বিধি—হনুমানজীর চিত্র সামনে রেখে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে পূর্বোল্লিখিত ধ্যান করে উক্ত মন্ত্র ২২,০০০ (বাইশ হাজার) জপ করবে। কলার টুকরো ও আমের টুকরো ও ঘৃত সহযোগে হোম করবে। ২২ জন ব্রাহ্মণ কুমারকে (যাদের উপবীত হয়েছে, এইরূপ ১২-১৪ বছর বয়সের) ভোজন করাবে। এই প্রক্রিয়ায় ভগবান মহাবীর প্রসন্ন হয়ে সাধককে সিদ্ধি দান করেন।

_____________________________

সিদ্ধি লাভের জন্য বিকল্প হিসেবে নিম্নে দেওয়া শ্রীসুগ্রীব মন্ত্র দুটিও চর্চা করতে পারেন।

শ্রীসুগ্রীব মন্ত্র শ্রীসুগ্রীব ধ্যানম্
বালং ষোড়শহায়ণং কপিপতিং বহ্নি প্রভাভাসুরম্। দোর্ভিবৃতগদা ধনুঃ শরচয়ান্সংবিভ্রম্ সাদরম্ ।। বন্দে দেবস্য রূপিণং রঘুপতিং চারাধয়ন্তং মুদা। ধ্যায়েহহং ভগবত্তমর্কনয়নং সুগ্রীব দেব হৃদি।

সুগ্রীব মন্ত্র (সিদ্ধিপ্রদ)
ওঁ হ্রীং ঐং ক্লীং সৌং সুগ্রীবদেবায়। ক্রৌং ঠঃ ক্রুং ঠঃ হ্রীং ঠঃ স্বাহা।।

বিধি—উপরোক্ত মন্ত্রটি শুধুমাত্র ১০৮ বার জপ করলেই সিদ্ধি লাভ হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url