জেনে নিন ময়ূর পাখি দ্বারা কিছু তান্ত্রিক প্রয়োগ

পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর পাখির খেতাব রয়েছে ময়ূরের। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ময়ূরের পালকের অনেক অলৌকিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মুকুটে ময়ূরের পালক পরতেন। শুধু পালক নয়, ময়ূরেরও গুণ রয়েছে। আসুন জেনে নেই ময়ূর সমন্ধিত কিছু তান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য। 

লাল চন্দন ও জাফরান মিশিয়ে ময়ূরের ঠোঁট দিয়ে কালি তৈরি করে পনেরোর যন্ত্র তৈরি করুন এবং ধূপ দেওয়ার পর একই ঠোঁটের টুকরো ভোজপত্রে মুড়ে তারপর আবার ধূপ দিন এবং লাল রেশমী কাপড়ে মুড়িয়ে আপনার কাছে রাখুন। যে ব্যক্তি রবি পুষ্য যোগে যন্ত্রটি তৈরি করে পরেন, তিনি সমৃদ্ধ হন।


ময়ূরের হাড়ের টুকরো ভোজপত্রে মুড়িয়ে তাবিজে রেখে বাচ্চাদের গায়ে পরিয়ে রাখলে কু-নজর, যাদু-টোনা ইত্যাদি থেকে রক্ষাকারী ঢাল হিসেবে কাজ করে।

ঘরে ময়ূর রাখলে ঘরের ভিতর সাপ আসার ভয় থাকে না। ময়ূরের উপস্থিতির কারণে লক্ষ্মীর স্থায়ী অধিবাস ঘটে, ফলে ঘরে ধন বৃদ্ধি পায়।

কোনো বিকৃতি ছাড়াই একটি শুভ যোগে ময়ূরশিখা (মাথার ঝুটি) প্রাপ্ত করে আপনার কাছে রাখলে আপনি প্রচুর সম্মোহন শক্তি পাবেন।

বই ও ধর্মীয় গ্রন্থে ময়ূরের পালক রাখলে জ্ঞান, শ্রদ্ধা ও সরস্বতীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, মৃত ময়ূরের অংশগুলো বা ভোরে যে পালক গুলো নিজে থেকে ঝড়ে পড়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। জীবন্ত পাখি হত্যা এবং তন্ত্রে তাদের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url