অলসতা, পারিবারিক ঝগড়া ও আর্থিক ঋণ পরিশোধের টোটকা

বর্তমান সমাজে মানুষ অলসতা, পারিবারিক ঝগড়া, ঋণ, অসন্তুষ্টি সহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই প্রবন্ধে আমরা সেই সকল বিষয় থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যায় তার কিছু টোটকা আলোচনা করব। যে টোটকা গুলো আমাদের সমাজে বহু আগে থেকেই কিছু সংখ্যক লোক ব্যবহার করে আসছে এবং তারা এর সুফল পেয়েছেন। আসুন শুরু করি.....

অলসতা কাটিয়ে উঠতে


যদি কোন ব্যক্তি মনে করেন যে অলসতার কারণে তিনি কোন কাজে সফলতা পাচ্ছেন না, তাহলে তার উচিত খাঁটি মধুতে কন্টিকারি গাছের মূল (বৈজ্ঞানিক নাম: Solanum virginianum) পিষে খাওয়া। শুধু এর গন্ধ পেলেই অলসতা থেকে মুক্তি পাবেন।

ঝগড়া দূর করার উপায়


ঘরে ঝগড়া বা ঝামেলা হলে করুন এই প্রতিকার। শুধুমাত্র সোমবার বাড়িতে গমের আটা পিষে নিন। পিষানোর আগে তাতে কিছু কালো ছোলা দিন। এই ধরনের ময়দা খেলে ধীরে ধীরে সব ক্লান্তির অবসান হবে।

বাধা অতিক্রম করতে


যদি কেউ আপনাকে ব্যবসায় বা চাকরিতে হয়রানি করে তবে এই প্রতিকারটি করুন। আধা মিটার সাদা রঙের কাপড় নিন। শুধু তর্জনী আংগুল দ্বারা কাজল দিয়ে ওই ব্যক্তির নাম লিখুন। সেই ব্যক্তির নামে যত অক্ষর আছে, অই লেখা কাপড়ে ততবার থুথু ফেলুন।

মেয়ের বিয়েতে বিলম্ব


কোন কারনে মেয়ের বিয়ের জন্য উপযুক্ত বর না পাওয়া গেলে যে কোন বৃহস্পতিবার সকালে স্নান সেরে মেয়ে নিজেই ছোলার লাড্ডু তৈরি করে নেবে। লাড্ডুর সংখ্যা ১০৯টি হওয়া উচিত। তারপর সেই লাড্ডুগুলিকে একটি হলুদ রঙের প্লাস্টিকের ঝুড়িতে রেখে একখানি হলুদ রঙের কাপড় বিছিয়ে নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী কিছু দক্ষিণা রাখবে। তারপর কাছের একটি শিব মন্দিরে গিয়ে বিয়ের প্রার্থনা করে বাড়ি ফিরে আসবে। এতে বিয়ের বাধা কেটে যাবে।

ঋণ মুক্তির জন্য


শুক্লপক্ষে মঙ্গলবার থেকে, ময়দায় গুড় মিশিয়ে মিষ্টি পিঠা তৈরি করুন এবং হনুমানজির মন্দিরে নিবেদন করুন অথবা গরীবদের খাওয়ান। আর্থিক ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।

কৃতিত্ব এবং সমৃদ্ধির জন্য


বুধবার এক বাটি বাসমতি চাল কাউকে দান করুন। নবরাত্রির অষ্টমীতে ৬ মাস পর আবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

এছাড়াও সফলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একটি পুণ্যময় জীবন যাপন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করুন। সৎ, নীতিবান হোন এবং যা সঠিক তা করুন, যদি এটি কঠিনও হয়। আপনার প্রচেষ্টায় অবিচল থাকুন এবং কখনই হাল ছাড়বেন না।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url