বশীকরণে লক্ষ্মী মন্ত্র ও কার্যকারি টোটকা

এটা বশীকরণের একটি অন্যরকম তন্ত্র। এটাকে তন্ত্র বলার কারণ হলো; এখানে আপনাকে মন্ত্র মুখস্থ করতে হবে না। শুধু কাঙ্খিত কিছু ভেষজ এবং আত্মবিশ্বাস রেখে লক্ষ্মী দেবীর অর্চনা করলেই কার্যসিদ্ধ হয়।  একে বশীকরণ টোটকাও বলা হয়ে থাকে।

বশীকরণে অনেক দেবদেবীর মন্ত্র থাকলেও “বশীকরণ লক্ষ্মী তন্ত্র-মন্ত্র” নামটা শুনে অনেকেই অবাক হবেন। হ্যাঁ, বশীকরণের জন্যও লক্ষ্মী তন্ত্র মন্ত্র রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব। অন্যান্য মন্ত্র গুলোর মত এই মন্ত্রটিও বেশ কার্যকরী এবং ফলদায়ী। আসুন তা জেনে নিই...

মনঃশীলা-কুঙ্কুমসর্ষপাশ্চ বচা চ কুষ্ঠং সহ দেবদারুঃ। রক্তঞ্চ রক্তং পালিতেন সার্দ্ধং প্রপেযয়ে‍ৎ সূক্ষ্মতরং মহান্তং॥ প্রস্নাত পূর্ব্বাভিমুখোপি ভূত্মা! সংস্কৃত্য লক্ষ্মীঞ্চরুকেন পূজ্য। ততঃ প্রকুর্য্যাং তিলকং ললাটে বামাচ্চ হস্তাচ্চতুরঙ্গলীভিঃ পুংদৃষ্টমাত্রেণ ভবেৎ স কান্তাদাসাতিদাসশ্চ কিমত্র চিত্রং॥

মনঃশীলা, কুঙ্কুম, সর্ষপ, বচ, কুড়, দেবদারু, রক্তচন্দন ও স্বীয় শোণিত্ব- এই সকল উত্তমরূপে পেষণ করিবে। অনন্তর প্রাতঃস্নানাদির দ্বারা শুদ্ধ হইয়া পুর্ব্বাভিমুখে, বসিয়া শ্রীদেবীর অর্চনা করিয়া কপালে তিলক ও রাম-হস্তের চারিটা অঙ্গুলিতে লেপন করিবে। কোন নারী এইরূপ করিয়া যে পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করিবে, সেই পুরুষ তৎক্ষণাৎ তাহার দাসানুদাস হইয়া বশীভূত হইবে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url