সাপের বিষ নাশক ঝাড়ন মন্ত্র

এই প্রবন্ধে উল্লেখিত সর্প বিষনাশক মন্ত্র গুলো তান্ত্রিক গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। এই মন্ত্র গুলো সাপুড়েগণ প্রয়োগ করে থাকেন। আপনি যদি এই মন্ত্র গুলো প্রয়োগ করেন, তাহলে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে আপনাকে প্রয়োগ করতে হবে। এতে কোন ক্ষতি হলে গণক্কার দায়ী নয়। অন্যথায় এই মন্ত্র থেকে আপনাকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

মূলত, যে সময়টিতে সাপের বিষ নাশক আধুনিক চিকিৎসা যে অঞ্চলগুলোতে ছিল না। সেই অঞ্চলগুলোতে মানুষ নিরুপায় হয়ে এই মন্ত্র গুলো প্রয়োগ করত। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা সহজলভ্য হওয়াতে; সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফ্রিতে সাপের বিষ নাশক এন্টি ডোজ পাওয়া যায়।

সর্পবিষ ঝাড়ন মন্ত্র এক


উত্তর দিশি কারো বাদরি তেহি, মধ্য ঠাঢ় কালপুরুষ, এক হাথ চক্র, এক হাথ গদা, চক্র মারা শতখণ্ড, আঈ গদা মারে সাতো পাতাল আঈ, ওঁ হর হর নির্বিষ শিবাজ্ঞা।

বিধি—গ্রহণের সময় ১০,০০০ (দশ হাজার) মন্ত্র জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হয়। এবার যে ব্যক্তিকে সর্প দংশন করেছে, তাকে উক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে ময়ূরের পালক দ্বারা ঝাড়া দিলে সাপের বিষ নামে।

দ্বিতীয় প্রকার


থিরুপও য়ন জেহি বিষ, 
নাশে তেহি দেখি বিষ, 
বিষ ধহুঁ কাঁপে সৎ পর্জা। 
আষ বিষমো সন্দীষৈষ্ঠয়ৈ নহি 
বিষহ মন্ত্র কুশল বালুগালে, 
ঝাবিতাল নির্বিষ হোই ।

বিধি—পূর্বোক্ত মন্ত্র অনুযায়ী।

তৃতীয় প্রকার 


“নৃসিংহ ভরী কে বচন, 
ওয়ে জী হো নিরন্তর নার।”


বিধি—পূর্বোক্ত মন্ত্র অনুযায়ী মন্ত্র সিদ্ধ হতে হবে। তারপর তিন আজলা জল উক্ত মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে সর্প দষ্ট ব্যক্তিকে খাওয়ালে এবং মাথায় ৩টি টোকা মারলে সাপের বিষ নামে।

সর্প ভয়নাশক তান্ত্রিক ঔষধ 


যেদিন সূর্য মেষরাশিতে থাকবে, সেদিন শুভ মূহুর্তে মসুর ডালের একটি দানা ও নিমের দুটি পাতা এক সাথে খেলে, এর প্রভাবে এক বৎসর পর্যন্ত সর্পভয় থাকে না।

সর্প বিষনাশক তন্ত্র


যদি কাউকে সাপ দংশন করে, তাহলে দংশন স্থানের ১২ আঙুল ওপরে বেশ শক্ত করে বাধবে। আবার তার ২৫ আঙুল ওপরে একটি বাধন দেবে। এবার দংশন স্থান একটি ছুরি দিয়ে চিরে রক্ত বার করে দিতে হবে। তারপর ফুলকপি খেতো করে তার রস গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ালে বিষ নষ্ট হয়।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url