যে আপনার চোখের দিকে তাকাবে সেই বশীভূত হবে

যে আপনার চোখের দিকে তাকাবে সেই বশীভূত হবে। অবাক করার মত কথা, তাই না? আপনি যদি মন্ত্র-তন্ত্র বিশ্বাস রাখেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটি মানতে হবে। কারণ, তন্ত্র শাস্ত্রে এরকম একটি মন্ত্র রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সিদ্ধি লাভ করলে যে আপনার চোখের দিকে তাকাবে সেই আপনার বশীভূত হবে। এই মন্ত্র প্রয়োগের জন্য ব্যক্তিকে ধৈর্যশীল এবং সংযমী হতে হবে। এখানে উল্লেখিত মন্ত্রটি ১০সহস্র বার জপ করে সিদ্ধি লাভ করতে হয়। তাই বলা যায় যাদের ধৈর্য নেই তাদের জন্য এই মন্ত্রটি নয়। 

“ॐ নমঃ আদিপুরুষায়ঃ অমুকং আকর্ষণং কুরু কুরু স্বাহা”

অনেকেই ভাবতে পারেন, মন্ত্র সিদ্ধি লাভ করলাম। তারপর যার দিকে তাকাবো সেই আকর্ষিত হবে। এরপর আপনি তার সাথে যাচ্ছে তাই করবেন। আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে এই মন্ত্রটি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। তন্ত্র শাস্ত্রে বলা আছে, যিনি কু-চিন্তা মাথায় রেখে তন্ত্র ক্রিয়া করেন তিনি অসফল হন। সুতরাং ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

এবার আসুন প্রয়োগ বিধি দেখে নিই। ষটকর্ম অনুযায়ী যে ব্যক্তি শুদ্ধচিত্তে উপরুক্ত মন্ত্রটি দশ সহস্রবার জপ করতে পারবে, তাহার চোখে বশ্যতা স্বীকার করাইবার শক্তি জন্মায়। অর্থাৎ তার চোখে এমন একটা শক্তির উদ্ভব হয়, যে ব্যক্তি তার চোখে তাকায় সে তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে যায়। "অমুকং" স্থানে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির নাম উচ্চারণ করতে হবে। মনে করুন আপনি এই মন্ত্র দ্বারা সিদ্ধি লাভ করলেন। এখন যাকে বশ করতে যাবেন তার দিকে তাকাবেন, যদি ঐ ব্যক্তি আপনার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রাখে। তাহলে চোখের প্রাপ্ত মোহনী শক্তিতে সে আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে যাবে। 

প্রবন্ধটি বুঝতে অসুবিধা হলে, পুনরায় পড়তে পারেন।
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url