সূতিকা রোগ এবং স্তনে বাত রোগের ত্রিপুরা লোকজ চিকিৎসা

প্রসূতি মহিলারাই এই সূতিকা রোগটিতে বেশি ভুক্তভোগী। এটির কারণে পেটের সমস্যা গড়হজম এমনকি পেটে তীব্র ব্যাথা হতে পারে। এর ফলে শরীরে নানান জটিলতা দেখা যায়। খাবারে অরুচি সহ পুষ্টিহীনতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সূতিকা রোগটি এতটাই জটিলতা সৃষ্টি করে যে কেবলমাত্র ভুক্তভোগী এর কষ্ট বুঝে থাকেন। এখানে উল্লেখিত ওষুধি গাছের নাম গুলো ত্রিপুরা ভাষার। 

সূতিকা রোগের চিকিৎসা 


রাম থাইচুক শিকড় উত্তমরূপে জলে ধুইয়া খোসা ছাড়াইয়া ঐ বাকল রসুন গুলমরিচ দিয়া বাটিয়া প্রসূতিকে তিন সপ্তাহ খাওয়াইলে সূতিকা রোগ নিরাময় হয়। রাম থাইচুক মূলত পাহাড় ও জংগলে পাওয়া যায়।  

অথবা

চুক্তিমা শিকড় উত্তমরূপে জলে ধুইয়া বাকল ছড়াইয়া ঐ বাকল রসুন গুলমরিচ দিয়া বাটিয়া মটর দানা পরিমান বটিকা তৈয়ার করিয়া সকালে দুইটি বটিকা ও বৈকালে দুইটি বটিকা তিনদিন খাওয়াইলে সুফল পাওয়া যায়। মোট ২১ দিন খাইতে হইবে।

দ্বিতীয় রোগটিও প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। এই রোগটি হলে প্রধানত স্তনে ব্যথার তৈরি হয়। স্তন ফুলে ওঠে এবং শিশুকে দুগ্ধ পান করার সময় ব্যথা করে। এটা মায়েদের জন্য বেশ যন্ত্রণাদায়ক। আসুন এই রোগটি নিরাময়ে একটি ত্রিপুরার লোকজ চিকিৎসা জেনে নিই।

স্তনে বাতের চিকিৎসা


অনেক সময় স্তন ফুলিয়া যায়, টনটন করে এটাকে বাসি বা বাত বলে। কুমারিয়া মৌমাছি তোলা মাটি সংগ্রহ করে নিতে হবে। অনেক সময় ঘরের বেড়াতে মাটি দিয়া বাসা তৈয়ার করে ও মাকড়সা ধরে। ঐ মাটি জলে গুলিয়া স্তনে মাখিবে। দু-চার দিন এভাবে মাটি মাখলে বাত সেরে যায়।  
Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url