মন্ত্র ছাড়াই কাউকে বশীকরণ করার দুটি সহজ পদ্ধতি

আমরা অনেকেই কাঙ্খিত মানুষকে বশীকরণ করতে চাই যাতে সে আমাদের কথা শুনে। কিন্তু বশীকরণের কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা বশীকরণ কি এবং এর সুবিধা-অসুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করব। প্রাচীন ভারতে এই তান্ত্রিক পদ্ধতিগুলো বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এগুলো এতটাই কার্যকরী যে তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব দেখা  যায়। 

মন্ত্র ছাড়াই অত্যান্ত শক্তিশালী বশীকরণ পদ্ধতি আপনার প্রেমময় জীবন এর আকাঙ্খা গুলি সহজেই পূর্ণ করতে পারে।  তবে এর জন্য আপনাকে পদ্ধতিগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং আপনাকে যে বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো কোন পদ্ধতি গুলো আপনার জন্য উপযোগ উপযোগী। 


ভালোবাসা মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। অনেক সময় পিতা-মাতার বিরোধিতা, অন্য কারো হস্তক্ষেপ বা অসহযোগিতার জন্য মধুর সম্পর্ক গুলো ভেঙে যায়। কিংবা প্রেম জীবনের সফলতা পূরনে বাধার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার জন্য আজকে আমার এই প্রবন্ধে মন্ত্র ছাড়া বশীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এটাকে আপনারা তীব্র টোটকা বশীকরণও বলতে পারেন।

বশিকরণ কখন ব্যবহার করা যেতে পারে?


  1. যখন প্রেমের সম্পর্ক ভুল হয়ে যায়।
  2. যদি প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে।
  3. জীবনসঙ্গীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
  4. প্রাক্তন প্রেমিক বা গার্লফ্রেন্ডকে আবার  লাইফে জড়ানোর উপক্রম হলে।

এই মন্ত্র ছাড়াই বশীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার ভালোবাসাকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন এবং তাকে সারাজীবনের জন্য বশীভূত করে রাখতে পারবেন। এই বশীকরণ ক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আপনাকে যে যে উপকরণগুলোর প্রয়োজন হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  1. গরুর একটু কাঁচা দুধ।
  2. একটু মধু।
  3. এক চিমটি খাঁটি জাফরান।
  4. ১১টি আতা ফলের বীজ।
  5. কাজল দানি বা মাস্কারার বাক্স।
  6. যে ব্যক্তি বা মহিলাকে আপনি বশিকরণ করতে চান তার ডান পায়ের মাটি।
  7. আপনার নিজের ব্যবহৃত যে কোন কাপড় বা রুমাল।
  8. ডালিম গাছের কাঠের বা ডালের তৈরি করা কলম।

মন্ত্র ছাড়া বশিকরণ পদ্ধতি


এই বশীকরণটি আপনি যেকোনো বুধবার সূর্য ডোবার পর করতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন যে কোন বুধবার সূর্যাস্তের পর আপনি শুধুমাত্র এই কাজটি করতে পারবেন। এটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে এগারটি আতা ফলের বীজ নিতে হবে, তারপর সেই বীজে কাঁচা দুধ ঢেলে দিতে হবে, তারপর সেখানে মধু ঢেলে দিতে হবে, তারপর এক চিমটি জাফরান, তারপর সেখানে যে কাজলদানি বা মাস্কারার কালি রয়েছে সেগুলো ঢেলে দিতে হবে, তারপর যাকে আপনি বশীভূত করতে চান তার পায়ের মাটির সেখানে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। 
ভালোভাবে সেই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার যে রুমাল বা কাপড় রয়েছে সেই কাপড়ের টুকরোটিকে  ধুপ দেখিয়ে তা শুদ্ধ করে নিন। এবার সেই কাপড়ের উপর ডালিম গাছের তৈরি কলমের দ্বারা পেস্ট দিয়ে একটি স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকুন এবং সেই স্বস্তিকা চিহ্নের উপরে একই কলম দিয়ে সেই পুরুষ বা নারী নাম লিখুন, যাকে আপনি বশীভূত করতে চান।


লেখালেখি হয়ে গেলে এবার সেই রুমাল বা কাপড়টি ভালোভাবে ভাঁজ করে মাথার উপরে ২১ বার ঘুরান। এখন এই রুমাল বা কাপড়টি আপনার বাড়ি থেকে দূরে কোন বট গাছ বা অশ্বত্থ গাছের নিচে একটি গর্ত খুঁড়ে সেখানে পুঁতে রাখুন এবং তার উপরে একটি পাথর রাখুন। মোটামুটি যে কোন সাইজের একটি পাথর হলেই হবে। খেয়াল রাখবেন এই বশীকরণ টি করার সময় যেন আপনাকে কেউ না দেখে এবার পিছন দিকে না তাকিয়ে সরাসরি আপনার বাড়ির দিগে পথ ধরুন।

বশীকরণ প্রক্রিয়ার পরে দান করুন

এবার কাপড়টি মাটিতে পুঁতে রেখে বাড়িতে ফেরার পথে কোন দরিদ্র ব্যক্তিকে ১১ টাকা বা ২১ টাকা দান করুন। এই মন্ত্র ছাড়া বশীকরণ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করার কয়েক দিনের মধ্যেই সুফল পাবেন। মন্ত্র ছাড়া বশীকরণ পদ্ধতিটি ভারতীয় উপমহাদেশের গ্রাম অঞ্চলে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাকে আপনি বশীকরণ টোটকা বলতে পারেন।

মন্ত্র ছাড়া বশিকরণের দ্বিতীয় পদ্ধতি

 
এবার আমরা যে পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করব, এটি একটি সহজ বশীকরণ পদ্ধতি। আপনি যদি মনে মনে সহজ বশীকরণ পদ্ধতি খুঁজছেন তাহলে এই মন্ত্র ছাড়া সহজ বশীকরণ পদ্ধতিটি আপনার জন্য। তবে খেয়াল রাখবেন খারাপ কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে বশীকরণ মন্ত্র বা পদ্ধতি প্রয়োগ করলে সেখানে সফলতা মেলেনা। উল্টো নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বশীকরণ পদ্ধতিটি আপনি মাসের যেকোনো দিন করতে পারেন। তবে এটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে জিনিসটির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে, যাকে বশীকরণ করতে চান তার ব্যবহৃত কোন কাপড় বা রুমাল।

যদি আপনি তার ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহ করতে পারেন তখন আপনি একটি লেবু নিবেন। যেকোনো লেবু হলেই হবে। এবার লাল কালি বা সিঁদুর দিয়ে লেবুর উপর আপনার নিজের নাম লিখুন। তারপর সেই লেবুটি সংগ্রহ করা কাপড়ের মাঝখানে রেখে সেই লেবুর উপর একটু লাল সিদুর ও হলুদের গুড়ো দিন। এবার সেই কাপড় দিয়ে লেবু ডেকে বেঁধে পুটলি তৈরি করুন এবং সেই পুটলি টানা ১১ দিন আপনার বালিশের নিচে রেখে ঘুমাবেন। দ্বাদশ তম দিনে সেই পুটলি নিয়ে যে কোনও গণেশ মন্দিরের সিঁড়িতে বা বারান্দায় রাখুন এবং পিছনে না ফিরে বাড়ি ফিরে আসুন। এই কার্যটি সম্পূর্ণ হলে দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যেই আপনি বশীকরণ টোটকা টির ফলাফল দেখতে পাবেন। আপনি যার জন্য এই বশিকরণটি করেছিলেন, তার মনে আপনার প্রতি ভালবাসার অনুভূতি জাগ্রত হবে।

প্রিয় পাঠক, এই ছিল মন্ত্র ছাড়া বশীকরণ করার দুটি সহজ পদ্ধতি। তবে আপনাদের কাছে যে কথাটি না বললেই নয় তা হল: তখনই আপনি বশীকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন, যখন আপনি কাউকে মন থেকে ভালবাসেন এবং সত্যিকারের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেতে চান কিন্তু আপনার যদি কোন উপায় না থাকে তখন আপনি এই বশীকরণ করতে পারেন। অন্যথায় কু-চিন্তা বা খারাপ কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে এই বশীকরণ টোটকাটি ব্যবহার করবেন না। অযথা নিজের ক্ষতি এবং সময় নষ্ট হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url