মেয়ে পটানোর ৮টি কার্যকরী বশিকরণ টোটকা ও মন্ত্র

আপনি কি কোন মেয়েকে ভালবাসেন এবং তাকে বশিকরণ করতে চান এবং সর্বদা তার সাথে থাকতে চান? তাহলে এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণরূপে পড়ুন। কারণ, এতে আমরা ৮টি দরকারী এবং অনিবার্য টোটকা কৌশল এবং মন্ত্র বলতে যাচ্ছি। যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার পছন্দের মেয়েকে বশীভূত করে তাকে নিয়ে বাকি জীবন ভালোবাসার সহিত কাটাতে পারেন।


মেয়ে পটানোর টোটকা ১


এটি করার জন্য একটি কালো রঙ্গের কাগজ লাগবে। গঙ্গাজল দ্বারা লাল সিঁদুর গুলিয়ে উক্ত কাগজে কাঙ্খিত মেয়ের নাম লিখুন। নাম লেখার পরে, এই কাগজের পাতাটি পুড়িয়ে তার ছাই তৈরি করুন।

এখন এই ছাই নিন এবং এটি যেকোন একটি নদীর প্রবাহিত জলে প্রবাহিত করুন। ছাই পানিতে প্রবাহিত করার পরে, এই মন্ত্রটি ১১ বার পাঠ করুন। “ॐ জগৎ মোহিনী বশীভূতেষু নমঃ” এবং পিছনে ফিরে না তাকিয়ে বাড়িতে চলে আসুন। এতে করে আপনার কাজ সফল হবে।

মেয়ে পটানোর টোটকা ২


আপনি বশীভূত করতে চান এমন কোনও মেয়ের রুমাল বা ব্যবহৃত কোনও কাপড় খুঁজে পেলে তা বাড়িতে নিয়ে আসুন। সেই কাপড়ের উপর লাল সিঁদুর এবং গোলাপজল মিশিয়ে রং তৈরী করুন। তারপর সেই রং (সিঁদুর) দিয়ে যেকোনো মঙ্গলবার ঐ কাপড়ের উপড় নিজের নাম লিখুন। এবার কাপড়টি একটি ছোট মাটির পাত্রে রেখে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কোনও পাকুড় (পিপুল/অশ্বত্থ) গাছের তলায়/কাছে পুঁতে দিন। আপনার কাজ সফলভাবে হয়ে যাবে।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৩


এটি যেকোনো মেয়েকে প্রভাবিত করার সবচেয়ে শক্তিশালী টোটকা গুলোর মধ্যে একটি। এই কাজটি করার জন্য একটি লেবুর প্রয়োজন হবে। লেবুর সাইজ কিছুটা বড় হতে হবে, যেন সেটাকে ৯ টুকরো করা যেতে পারে। এরকম একটি লেবু নেয়ার পর আপনাকে এই লেবুর উপড় নিম্নে দেওয়া মন্ত্রটি লিখতে হবে। তারপর এই মন্ত্রটি ১০৮ বার উচ্চারণ করতে হবে।

ॐ স্ত্রী মমো বশ্যমে হ্রীং ধীং সঃ॥

মন্ত্র জপ করার পরে, এই লেবুটি কোনও লোহার ছুরি দিয়ে ৯ টুকরো করে কেটে নিন এবং তারপরে এই লেবুর ৯ টি টুকরো সেই পথে ফেলে দিন, যে রাস্তা দিয়ে মেয়েটি যায়। এটা জরুরী নয় যে মেয়েটি তার পা দিয়ে সেই লেবুর কোন টুকরাকে পিষে ফেলবে। কেবল সেই টুকরোগুলির একটির উপর দিয়ে চলে গেলেই হবে। তাই আপনাকে লেবুটি এমনভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে, যেন সে যেখান দিয়ে যাক না কেন, লেবুর উপর দিয়ে তাকে যেতেই হবে। এই পদ্ধতিটি সঠিকভাবে করতে পারলে আপনার বশিকরণ টোটকা সফল করে তুলবে।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৪


আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন এবং তাকে বশীভূত করতে চান, তবে আপনার হাতে চন্দনের দ্রবণ দিয়ে সেই মেয়েটির নাম লিখুন এবং টানা ৩ বুধবার গণেশ মন্দিরে যান এবং গণেশের পায়ে কিছুক্ষণ আপনার হাত  স্পর্শ করে রাখুন। সত্যিকারের ভালবাসাকে মোহিত করতে প্রেমের জন্য এটি একটি শক্তিশালী টোটকা।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৫


আপনি যে মেয়েকে ভালবাসেন এবং তাকে যদি বশিকরণ করতে চান, তাহলে তার জন্য ১১ দিন ধরে প্রতিদিন ৩টি কলার উপর লাল সিঁদুর দিয়ে সেই মেয়েটির নাম লিখুন এবং এই তিনটি কলা একটি বাছুরকে খাওয়ান। অবশ্যই মনে রাখবেন, ঘর থেকে বের হওয়ার পর আপনি প্রথম যে বাছুরটি দেখবেন, আপনাকে ওই কলা সেই বাছুরটিকে খাওয়াতে হবে। ১১ দিন পরে, আপনি নিজেই এই টোটকার প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৬


পছন্দের মেয়েকে পটানোর জন্য ১১ টি হলুদ রঙের লেবু নিন (পাকা লেবু) এবং প্রতিটি লেবুতে লাল কালি বা সিঁদুর দিয়ে সেই মেয়েটির নাম লিখুন। এই লেবুগুলি আপনার সাথে রাখুন এবং প্রতিদিন একটি করে লেবু নদীর প্রবাহিত জলে ছেড়ে দিন। লেবু জলে প্রবাহিত করার আগে, নীচে দেওয়া মন্ত্রটি ২১ বার উচ্চারণ (জপ) করুন।

ॐ সম্মোহন ভোতি মোহনী হোয়ে ভব॥

আপনাকে এই পদ্ধতিটি ১১ দিন ধরে একটানা করতে হবে এবং আপনি যদি বিশ্বাসের সহিত মন দিয়ে এটি করেন তবে আপনার বশিকরণ কাজ অবশ্যই সফল হবে।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৭


যে কোনও মঙ্গলবার বা শনিবার একটি সাদা রুমাল নিন এবং লাল সিঁদুর দিয়ে তার উপরে স্বস্তিকা চিহ্ন তৈরি আঁকুন এবং একই লাল সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিকের নীচে সেই মেয়েটির নাম লিখুন। নাম লেখার পর সেই রুমালের উপরে একটি লেবু, একটি লাল মরিচ এবং ৩টি লবঙ্গ রেখে তার একটি বান্ডিল বানিয়ে যে কোনো পিপুল (অশ্বত্থ/পাকুড়) গাছের নিচে রেখে পিছনে না তাকিয়ে বাড়ি ফিরে আসুন। মনে রাখবেন যে কোনো মঙ্গলবার বা শনিবার ভোর ৪টায় এই বশিকরণ টি করতে হবে।

মেয়ে পটানোর টোটকা ৮


আপনি যাকে পছন্দ করেন, যদি তার একটি পরিস্কার ছবি সংগ্রহ করতে পারেন, তবে এই বশীকরণ টোটকা টি আপনার জন্য কার্যকর হবে। এবার তার ছবির পিছনে আপনার নাম লিখুন এবং আপনার নাম লেখার পরে, নীচে এই মন্ত্রটি ৩ বার লিখুন। 

ক্লেম ক্লেম হ্রীং তত॥

এর পরে, এই ছবিটি আপনার পার্সে  রাখুন। এই টোটকার প্রভাব দেখতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে, তাই একটু ধৈর্য ধরুন।


আপনি যদি শুদ্ধ মন থেকে এই বশিকরণ টোটকা এবং মন্ত্র গুলো প্রয়োগ করেন, তাহলে আপনি সফল হবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, কোন মেয়ে যদি ইতপূর্বে কারো প্রেমে পড়ে থাকে, তাহলে সেখানে সকল নাও হতে পারেন।

অর্থাৎ যে মেয়ের মনের ভিতর কেউ জায়গা করে বসে আছে, সেখানে হয়তো আপনার জায়গা হবে না। তাই আপনাকে হয়তো তার প্রেমকে প্রথমে ভাঙতে হবে অথবা যে মেয়ে এখনো প্রেমে পড়েনি, কারো সঙ্গে রিলেশনে যুক্ত নেই, সেই মেয়েকে এই টোটকা দিয়ে সহজেই বশিকরণ করতে পারেন। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন খারাপ উদ্দেশ্যে এই সকল বশিকরণ টোটকা কার্যকর হয় না।

আর এই ট্রিকগুলো সেই মেয়ের উপর কাজ করবে যাকে আপনি চেনেন এবং মেয়েটিও আপনাকে চেনে, আপনি যদি এই বশিকরণ টোটকা গুলো কোন পরিচয়বিহীন মেয়ের উপর ব্যবহার করেন, তাহলে তা সফল হবে না।

আপনি যদি কোন বশিকরণ মন্ত্র বা টোটকা প্রয়োগ করে সফলতা লাভ না করেন। তাহলে সেটি পুনরায় কয়েকবার প্রয়োগ করুন। ধৈর্য ধরুন, আশা করি আপনি সফল হবেন। 

আবারো ঘুরেফিরে একই কথা বলবো যে, এখানে উল্লিখিত সকল মন্ত্র পদ্ধতি ও বশিকরণ টোটকা কৌশল শুধুমাত্র আপনার সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য ব্যবহার করা উচিৎ, আপনি যদি শুধু কামনা সাধনায় সেগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে এর পরিণতির জন্য আপনিই দায়ী থাকবেন।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url