কাগজে তাবিজ লিখে পুড়িয়ে বশীকরণ করার পদ্ধতি
এই প্রবন্ধে যে বশীকরণ পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, সেটি হলো সংখ্যা সূচক একটি বশীকরণ যন্ত্র। এখানে নয়টি ঘরের সংখ্যা রয়েছে। এই ধরনের বশীকরণ প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে পেপার বার্নিং স্পেল বলা হয়ে থাকে। হ্যাঁ, বাংলাতে যাকে আমরা কাগজে তাবিজ বানিয়ে পুড়িয়ে ফেলার কথা বলে থাকি। নিম্নে এর অংকন পদ্ধতি এবং প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
প্রথমে একটি পরিষ্কার সাদা কাগজ নিতে হবে। এবার কয়েক ফোটা জলে সামান্য জাফরান ভিজিয়ে কালি তৈরি করতে হবে। কালি তৈরি হয়ে গেলে এবার এক আঙ্গুল পরিমাণ যেকোনো পরিষ্কার এক টুকরো কাঠ দিয়ে এক আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা একটি কলম তৈরি করে নিন। আপনার যেকোনো আঙ্গুলের পরিমাণ অনুযায়ী কলম তৈ্রি করতে পারেন। এবার এই কলম দিয়ে সেই কালি দ্বারা নিম্নের বশীকরণ যন্ত্র বা তাবিজটি লিখতে হবে।
যেখানে নিজের নাম লেখা রয়েছে সেই স্থানে আপনার নাম লিখুন এবং যেই স্থানে অভিলাষীর নাম লেখা রয়েছে সেখানে কাঙ্খিত ব্যক্তির নাম লিখুন। অর্থাৎ লেখা দুটি পরিবর্তন করে আপনার নাম এবং তার নাম লিখতে হবে। সম্পূর্ণ নাম জানা থাকলে খুবই ভালো হয়।
যন্ত্রটি লেখার সম্পূর্ণ হলে সাধক কাগজটিকে গোল করে মুড়িয়ে নিবে অর্থাৎ রোল করতে হবে। এবার এই কাগজটিকে কোন সুগন্ধিযুক্ত তেল যেমন গোলাপের তেল বা জেসমিনের তেল অথবা অন্য কোন ফুলের সুগন্ধিযুক্ত তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন সেই তেল অবশ্যই কোন মাটির পাত্র বা ধাতব পাত্রে যেন থাকে।
এবার পরের দিন ভালো সময় দেখে সেই তেল যুক্ত পাত্র থেকে বশীকরণ তাবিজ নকশার কাগজটি বের করে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করতে হবে। তারপরে যাকে আপনি বশীকরণ করতে চান, তার বাড়ির সামনে সেই ছাই উড়িয়ে দিতে হবে।
দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য এই বশীকরণ প্রক্রিয়া কয়েকবার করতে পারেন। যেমন প্রথম বার ছাই তার বাড়ির সামনে উড়িয়ে দিবেন। তারপরেও যদি কাজে বিলম্ব হয়, তাহলে সেই ছাই তার বাড়ির সামনে পুঁতে রাখবেন। এমনকি সেই ছাই তার বাড়ির ভিতরেও আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে পারেন।
এই বশীকরণ যন্ত্রটি তৈরি এবং প্রয়োগের সময়ে অবশ্যই নিরামিষ ভোজন করবেন, সত্য কথা বলবেন এবং মনে বিশ্বাস রাখবেন। তন্ত্র শাস্ত্রে বলা হয় আত্মবিশ্বাসে মন্ত্র এর শক্তি বাড়ে।