আর্থিক উন্নতি কিংবা টাকা আয় করার যন্ত্রম

আমরা অনেক সময় কথার ছলে বলে থাকি পকেটে টাকা আসে কচ্ছপের মত কিন্তু বের হয়ে যায় খরগোশের মত। কথাগুলো সব সময় আমাদের জীবনের সঙ্গে মিলে যায় বলেই এই প্রবাদগুলো সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই বর্তমান সময়ে আয়ের থেকে ব্যয় অনেকটাই বেশি। অনেকেই আর্থিক ব্যয় কমাতে টাকা হিসেব করে খরচ করেন কিন্তু তারপরেও যেন অর্থের অভাব লেগেই থাকে। যদি আপনি এরকম আর্থিক অভাবে ভুগছেন, তাহলে মনে বিশ্বাস রেখে এই যন্ত্রমটি প্রয়োগ করে দেখুন।

এই যন্ত্রটিকে বলা হয় ১৫ সংখ্যার সাফল্য যন্ত্র। ১৫ টি সংখ্যা দ্বারা গঠিত হয় এই যন্ত্রটি। এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো; আপনি যে দিক থেকে হিসেব করুন তিনটি সংখ্যা মিলে যোগফল ১৫ হয়। এই ১৫ সংখ্যাটি তন্ত্রবিদ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা।

যন্ত্রটি আঁকার জন্য আপনাকে সাদা বা লাল চন্দন কাঠ নিতে হবে। তারপর সেই কাঠ সামান্য জলে ঘষে তিলক তৈরি করে নিতে হবে। এই তিলক কে লেখার কালী হিসেবে ব্যবহার করতে হবে আর লেখার জন্য কলম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ময়ূরের পালকের গোড়ার প্রান্ত দিক। 

যদিও এই টাকা লাভের যন্ত্রটি আঁকার সময় নির্দিষ্ট আচার প্রথার কথা উল্লেখ্য নেই। তবুও যেকোনো যন্ত্রম তৈরির সময় সদা পরিষ্কার থাকতে হয়, স্নান করে, পরিষ্কার বস্ত্র পড়ে, শুদ্ধাসনে বসে যন্ত্রম লিখতে হয়। সম্ভব হলে যন্ত্রটিকে ধুপ ও তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করতে পারেন, তারপরেই এটি ব্যবহার করতে পারেন।

যে ব্যক্তি টাকা লাভের যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন, তিনি এই যন্ত্রমটিকে মানিব্যাগ, পার্স বা পকেটে রাখতে পারেন। এটিকে সবসময় পরিষ্কার রাখার জন্য লেমেনেটিং করে নিতে পারেন। এর ফলে এই যন্ত্রটি বহুদিন টেকসই হবে। যন্ত্রটি নষ্ট হলে জলে ভাসিয়ে দিন এবং নতুন একটি যন্ত্র অঙ্কন করে আবার ব্যবহার করুন।