নৌকা স্তম্ভনের দুটি আদি তন্ত্র পদ্ধতি
এই প্রবন্ধটির বিষয়টা একটু আলাদা ধরনের। আমাদের মধ্যে হয়তো কিছু সংখ্যক লোক শুনে থাকবে যে কিছু তান্ত্রিক বা ওঝা ছিলেন, যারা নৌকাকে স্তম্ভ করে রাখতেন। ব্যাপারটা হল এমন: কোনও মাঝি যখন নৌকা ছাড়েন। তখন ওই সাধক বা ওঝার অনুমতি ছাড়া নৌকা এগোতে পারে না। অনেক সময় সংযুক্ত শ্যালো মেশিন স্টার্ট নেয় না। এই রকম হাওয়াকে নৌকা স্তম্ভন বলা হয়।
আগের দিনে সাধকেরা তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য এ রকম বিভিন্ন ধরনের স্তম্ভন মন্ত্র সিদ্ধিলাভ করত। যার কারণে এগুলোকে আমি আদি পদ্ধতি বলেছি। এই প্রবন্ধে সে রকম একটি তন্ত্র নিয়ে আলোচনা করব। যার নাম নৌকা স্তম্ভন তন্ত্র। এখানে একটি তন্ত্রের দুটি পদ্ধতি রয়েছে।
নৌকা স্তম্ভনের দুটি পদ্ধতি
পদ্ধিতি ১: ভরণী নক্ষত্রে ষটকর্ম্মের নিয়মাদি সমাপন পূর্ব্বক ক্ষীরিবৃক্ষের এক খানি পঞ্চাঙ্গুল পরিমাণ কাঠ লইয়া নৌকায় ফেলিয়া দিলে, নৌকা স্তম্ভন হইয়া থাকে।
পদ্ধিতি ২: উপরোক্ত নক্ষত্রে ষটকর্ম্মাদি সমাধান করিয়া অশ্বত্থ, বট, পাকুড়, যজ্ঞডুম্বুর ও বকুল এই কয়েকটি বৃক্ষের প্রত্যেকের পাঁচ 'আঙ্গুল পরিমাণ কাষ্ঠ লইয়া যে কোন নৌকার মধ্যে স্থাপন করা যাউক না কেন, সেই নৌকা নিশ্চিত স্তম্ভিত হইবে।